দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ডাকাতের উপদ্রপ বৃদ্ধি, জনমনে আতংক

0
675
blank
blank

মো. নাইম তালুকদার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতের উপদ্রপ ও একমাসের মাথায় তিনটি গ্রামে ডাকাতির ঘটনা গঠেছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ ডাকাত আতংকে ভুগছেন । এক মাসের ব্যবধানে এসব গঠনা ঘটেছে।
নোয়াখালী বাজারস্হ ভিমখালী রাস্তার পাশে একটি বাড়ীতে, উত্তর গাজিনগর ও ভাটি পাড়া রাস্তার মুখে ডাকাতির ঘঠনা ঘঠে। এনিয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষজনের মনে আতংক বিরাজ করছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.ফখরুল ইসলামে বাড়ীতে ডাকাতির ঘঠনা সংঘটিত হয়। বাড়ীর বাসিন্দা মো.ফখরুল ইসলাম জানান, আমি রাতে হঠাৎ শদ্ধ শুনতে পাই। শদ্ধ শুনার সাথে একটু এগুলে ডাকাত দল হানা শুরু করে।ডাকাত রা আমার বাড়ির প্রধান গেইট বেঙে ও মেইন বাসার কেচি গেইট বেঙে আমার দরজায় দারালো রামদা দিয়ে সেদ শুরু করে। এবং উচ্চস্বরে বলতে থাকে এই শালা দরজা খুলে দেয় ” নইলে তরে প্রাণে মেরে ফেলব।

আমি তাদের কথায় না রাজি প্রকাশ করে চিল্লা চাল্লা শুরু করি তঃপর চারদিকের মানুষজনের কাছে মোবাইল ফোন দেই, পাড়ার মানুষজন এগিয়ে আসলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। গত ২৩ ডিসেম্বর রাত দেড়টায় নোয়াখালী বাজারে পাশে ভিমখালী রোডে ফখর উদ্দিন বাড়ীতে ও ডাকাতির ঘঠনা ঘঠে। ডাকাত তাদের নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও ১৭ টি মোবাইল ফোন, দিন ভরি স্বর্ন নিয়ে যায়। এর সাত আটদিনের মাথায় পাথারিয়া বাজারস্হ ভাটিপাড়া রাস্তার মুখে রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় সিএনজি চালক কেন্তুু নামের এক ড্রাইভারকে ডাকাত গলায় ধারালো চুরি ধরে। সে প্রাণের ভয়ে শুরচিৎকার করলে ডাকাতদল তার গলায় কুপ দিয়ে চলে যায়। এ ঘঠনা এলাকায় সর্বশ্রেনীর মানুষজনের মনে আতংক বিরাজ করছে। এলাকায় বিজ্ঞজন বলেছেন এলাকায় আইন শৃঙ্খলার তৎপরতা খুবই কম তাই প্রতিনিয়ত এসব ঘঠনা ঘঠে।

এব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী বলেন,
গতরাত্রের যে উত্তর গাজীনগরের ফখরুল ইসলামের বাড়ীতে যে ডাকাতি হয়নি, ডাকাতদল হামলা চালায়, পরে এলাকাবাসী এগুলে ডাকাত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ডাকাতদলকে ধরার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।
পুলিশ প্রতিটি ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করছে’। তিনি ডাকাতিকে মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য করেন।