দিরাই থানার রিমা তালুকদার জালিয়াতির মাধ্যমে এখন জগন্নাথপুরের নাগরিক

0
796
blank
blank

আলী আছগর ইমন, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: নাম রীমা রানী তালুকদার। তিনি দিরাই পৌরসভার সুকলনগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম অনিল তালুকদার। জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য গোপন করে জগন্নাথপুর উপজেলার স্থানীয় নাগরিক সেজে সার্টিফিকেট নিয়েছেন রীমা রানী। এরমধ্যে বহিরাগত হিসেবে তাকে সনাক্ত করে প্রত্যায়নপত্র দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষায় ফলাফল গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এতে জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে ৫০১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। শুরু থেকে অভিযোগ উঠে উত্তীর্ণদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বহিরাগত রয়েছেন। এসব বহিরাগতদের চিহিৃত করে তালিকা তৈরি করেন স্থানীয়রা। এরমধ্যে তাঁরা বহিরাগত হিসেবে ২৫ জনকে সনাক্ত করে গত ২১ অক্টোবর জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে আবেদনপত্র দিয়েছেন। ওই ২৫ জনের মধ্যে বহিরাগত নাগরিক হিসেবে রীমা রানী তালুকদারের
নাম উল্লেখ রয়েছে। গত ২১ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার পাশ্ববর্তী দিরাই পৌরসভার সুকলনগর এলাকার বাসিন্দা রীমা রানী তালুকদার জগন্নাথপুরের চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নলুয়া নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সেজে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তথ্য গোপন করে গত মাসের ২২ সেপ্টেম্বর নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করেন। তাকে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চিলাউড়া গ্রামের সুজাত মিয়া সনাক্ত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ইউপি সদস্য সুজাত মিয়া জানান, আমাদের পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য অনিল মেম্বারের মেয়ে বলে মেয়েটি পরিচয় দেয়। তখন আমি তাকে সনাক্ত করি। পরে জানতে পারলাম মেয়েটি আমাদের ইউয়িনের বাসিন্দা নয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাগরিক সনদপত্র নিয়েছে। আমরা লিখিতভাবে প্রত্যায়ন দিয়েছি, সে বহিরাগত নাগরিক।

চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রনধীর কান্ত দাস নান্টু জানান, রীমা রানী তালুকদার নামে কোন নাগরিক আমাদের ওয়ার্ডের বাসিন্দা নয়। এই নামে কেউ নেই আমাদের ওয়ার্ডে।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ মিয়া বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে এরমধ্যে বহিরাগত হিসেবে সনাক্ত করে প্রত্যায়নপত্র দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে রিমা রানী তালকুদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক পদে মৌখিক পরীক্ষার্থী জগন্নাথপুরের স্থানীয় বাসিন্দা চাকুরী প্রত্যাশি খালেদ জিবলু বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের নিকট থেকে বহিরাগত নাগরিক হিসেবে ২৫ জনকে সনাক্ত করে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

জগন্নাথপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুম জানান, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আবেদন পেয়েছি। এসব বহিরাগদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সনাক্ত করে প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন।

আলীআছগর ইমন

২৮/১০/২০১৯ইং