দুর্নীতির অভিযোগে এসআইইউর অর্থ পরিচালক সুশান্ত বহিষ্কার

0
811
blank
blank

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এসআইইউ) সিএসই বিভাগের সহযোগী শিক্ষক ও অর্থ পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুশান্ত আচার্য্যকে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও নানাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সুশান্ত আচার্য্যর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ আছে। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারকে কোন ট্যাক্স দেয়া না লাগলেও তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ট্যাক্স দিয়েছেন উল্লেখ করে টাকা আত্মসাত করেছেন।
এখানেই শেষ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় নিজের বাসায় নিয়েছেন ওয়াইফাই সংযোগও। ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে করিয়েছেন ইন্টারনেট সংযোগ। আর কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই তিনি ক্রয় করেছেন একটি ল্যাপটপ। এটিও বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে কেনা হলেও ব্যবহার করছেন সুশান্ত আচার্য্য।
বাদ যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোমেশন পদ্ধতিও। বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোমেশন চালু করতে না পারলেও এককালীন তিনি ২২ লাখ টাকা খরচ করেছেন এই খাতে। অথচ এই প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদনই হয়নি। তবে অনুমোদন না হলেও এই কাজের জন্য তিনি প্রতি মাসেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়েছেন তিন হাজার টাকা করে।
এছাড়া অটোমেশন কাজের চুক্তিতেও নেয়া হয়েছে প্রতারণার আশ্রয়। এখানে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে একই ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্টানটি যদি কাজ ঠিকমতো না করতে পারে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্য উপাত্ত আবার বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছের ফিরিয়ে দেবে না। এই কারণে ভুগতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। কারণ অটোমেশন কাজ চালু না হলেও শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট চলে গেছে সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে।
এখানেই শেষ নয় সুশান্ত সাম্রাজ্য। নিজের বাসায় ওয়াইফাই কিংবা নিজের প্রয়োজনে ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির জন্য গাড়ি ক্রয়ে আগ্রহ দেখান নি তিনি। এজন্য গত ৭ বছর থেকেই দৈনিক ভাড়ার গাড়িতে চলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এজন্য মাসে বিশ্ববিদ্যালয়কে খরচ করতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের আত্বীয়-স্বজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি দেয়া, নিজেরে ইচ্ছে মতো ছুটি, ক্লাস নিতে অনীহা, পরীক্ষার বিল আটকে দেয়াসহ নানা অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।