দুর্নীতির কারণে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: ড. কামাল

0
458
blank
blank

ঢাকা: বিশিষ্ট আইনজীবী গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির কারণে যতগুলো সিদ্ধান্ত বা কর্মসূচি নেয়া হয় তা বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, বিলম্বিত হয়। তিনি হাওরবেষ্টিত জেলাগুলোকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের দাবি জানান। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গণফোরামের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিশিষ্ট এই আইনজীবী।
হাওরাঞ্চলের কান্না : বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ান শীর্ষক- এ সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, দুর্নীতি আর দলবাজির কারণে অনেক সময় কাজই হয় না। এখানে শাসন ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার অভাব আছে। কাজ দেয়া উচিত যোগ্যতার ভিত্তিতে, দলীয় পরিচয়ে না। দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে না। কিন্তু এখানে তো তাই হচ্ছে। যাদেরকে ভিজিএভ কার্ড বিতরণের জন্য দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তাদের দলীয় পরিচয় রয়েছে। ফলে তাদের কাজের গাফিলতিতে বিচার হচ্ছে না। দলীয় পরিচয়ে কাজ হলে তো এধরনের দুর্নীতি হতে বাধ্য। দলীয় লোক থাকলে তার বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেয়া কঠিন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের আইনের শাসন থাকলে এমন হয় না। দুনীতি করুক শাস্তি হবে, কার্যকর তদন্ত হবে- এমন বিশ্বাস না থাকলে কোনো কাজে লাভ আসবে না। সবাই যদি ম্যানেজ করার মতো অবস্থায় চলে যায় তাহলে তো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া কঠিন।
তিনি বলেন, আমরা জানি, সংবাদপত্রকে এখন অনেক হুমকি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে এটা ঠিক সাংবাদিকদের কারণে এখন অনেক কিছু চেষ্টা কররেও গোপন রাখা যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকার কারণে অনেক কিছু বেরিয়ে আসে। এজন্যই আশার আলো দেখা যাচ্ছে। জনগণ তাদের মালিকের ভূমিকায় রয়েছে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সব ঠিক ঠিক চলছে বললে তো হবে না। এটা হীরক রাজার দেশ না যে সব ঠিক সব ঠিক বলা হবে, আর তা মেনে নেয়া হবে। তিনি অভিযোগ করেন, হাওরের ব্যাপারে অনেক কিছু জানান হচ্ছে না। প্রকৃত তথ্য দেয়া হচ্ছে না। সরকারের কাছেই জনগণ এতথ্য জানতে চায়। সরকারই এব্যাপারে ব্রিফ করতে পারে। সংদসীয় ব্যবস্থা রয়েছে দেশে। তারাও উদ্যোগ নিয়ে জনগণকে এব্যাপারে অবহিত করতে পারে।
সরকারকেই তথ্য দেয়া দরকার। এধরনের পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে সরকারকেই প্রকৃত তথ্য জনগণের কাছে হাজির করতে হবে। এটা আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনদিনই হবে না। জনগণকে এখানে সম্পৃক্ত করতে হবে। তবে সরকার তো সিভিল সোসাইটি কথাটা তো পছন্দ করে না। সেক্ষেত্রে নাগরিক শব্দটা ব্যবহার করে বলতে হবে, তাদেরকেই সম্পৃক্ত করুন।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ.ও.ম. শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ, ফজলুল কবির কাউসার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।