দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত: প্রধানমন্ত্রী

0
488
blank

দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফাঁকফোকর কোথায় এবং কারা উন্নয়ন প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আর অসৎ দুর্নীতি-অনিয়ম-উচ্ছৃঙ্খলতায় জড়িত থাকলে দলের লোকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রবাসী নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীর এসব কথা বলেন।

দুর্নীতিবাজদের সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, এই অসৎ পথ ধরে কেউ উপার্জন করলে, অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ কাজে যদি ধরা পড়ে, তবে সে যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও ছাড় হবে না, এর বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যহত থাকবে।।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা সৎভাবে জীবন যাপন করতে চায়, তাদের জন্য বা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সৎভাবে জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে যায়, যখন অসৎ উপায়ে উপার্জিত পয়সা সমাজকে পুঙ্গ করে দেয়। কারণ, অসৎ উপার্জনকারী সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ যদি সঠিকভাবে ব্যয় করা হত তাহলে বাংলাদেশের চেহেরা পাল্টে যেত। এখন আমি প্রকল্পগুলোতে কোথায় কোথায় অনিয়ম, ফাঁকফোকর রয়েছে তা খুঁজে বের করা চেষ্টা করছি।

যখন দেশের উন্নয়ন হয়, তখন কিছু মানুষ অস্বস্তি বোধ করে। তারা তখন প্রতিহিংসায় সব সময় বিদেশিদের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করে। গত নির্বাচনে বিএনপি আন্তরিক ছিল না। বরং তারা মনোনয়ন বাণিজ্যে ব্যস্ত ছিল। দেশের মানুষ আমার দলের ওপর আস্থা রেখেছে এ কারণে যে তারা জানে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন ও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে— বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, দলের চেয়ারম্যান একজন অপরাধী, সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দেবে। খালেদা জিয়ার এক ছেলে অর্থপাচারের দায়ে দণ্ডিত এবং অন্য ছেলে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনোতে খেলতে গিয়ে গ্রেফতার হয়। প্রবাসীরা যেন দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।