দেশে কোনো সরকার নেই, কোনো সুশাসন নেই: মির্জা ফখরুল

0
516
blank

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাওর অঞ্চল যখন বন্যাকবলিত, তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর প্রমাণ করে, তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, দেশে কোনো সরকার নেই। প্রধানমন্ত্রীর আরো আগেই হাওর অঞ্চল পরিদর্শনে যাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হাওর অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের হাওর অঞ্চলে এতো বড় একটা দুর্যোগ উপস্থিত হয়েছে, সেসময়ে হাওর সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের কর্মকর্তারা যদি বিদেশে যান, তাহলে বুঝতে হবে যে, দেশে সরকার নেই, দায়বদ্ধতাও নেই। সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে- তাতে এটাই প্রমাণ হয় যে, কোনো সুশাসন নেই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে বারডেম হাসপাতালে দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক চিকিৎসাধীন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। সানাউল্লাহ মিয়া ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন মির্জা ফখরুল। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, জাসাস নেতা নুরুউদ্দিন আহমেদ নুরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপি মহাসচিব।

আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রীর সুনামগঞ্জে হাওরের দুর্গত অঞ্চলে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগেই দুর্গত এলাকায় যাওয়া উচিৎ ছিলো।

আগামী ১ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার জন্য জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে ঢাকা মহানগর পুলিশ অনুমতি দেয়নি।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদেরকে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, পয়লা মে জনসভার অনুমতি পাবো না। তারা বলেছে যে, ২/৩ তারিখে অনুমতি দিতে পারে। সেজন্য আমরা নতুন করে আবেদন করেছি। আমাদের সাবেক এমপি জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ডিএমপি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেছেন।

মে দিবসে জনসভার অনুমতি না পেলে কী করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মুহূর্তে আমরা কোনো সংঘাতে যাওয়ার কথা চিন্তা করছি না। সরকার তার চিরাচরিত যে নীতি, বিরোধী দলকে তারা কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেবে না। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। এখান থেকেই বোঝা যায় যে, গণতন্ত্রের অবস্থা কোনো জায়গায় আছে? গণতন্ত্র যে বাংলাদেশে নেই, এটা তারই একটা বড় প্রমাণ।