দেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

0
492
blank

ঢাকা: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার শিকড় খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, দেশে ইতোমধ্যেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আসেম সম্মেলনের সাইড লাইনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি দেশের চিন্তাশীল জনগোষ্ঠী এই অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণে খুবই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বৈঠকে- সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যুদ্ধে তার একাত্মতার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় জাপানী নাগরিক নিহত হওয়ায় তার গভীর শোকের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থনের উল্লেখ করে বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখাসহ বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার নেপথ্য বিষয় নিয়ে তথ্য আদান-প্রদানে পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। তিনি এ সময় গুলশানের হামলার হতাহতদের স্বজনদের প্রতি অকুণ্ঠ সহানুভূতি এবং একাত্মতা প্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

গুলশানের জঘণ্য হামলার তীব্র নিন্দা করে আবে বলেন, এই আসেম সম্মেলনের মাধ্যমেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বে এই কঠোর বার্তা ছড়িয়ে দেয়া হবে যে, আমরা কোনো ধরনের সন্ত্রাসকে সহ্য করব না এবং আমরা সম্মিলিত কণ্ঠেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানসহ উন্নয়ন সহযোগী এবং বন্ধুভাবাপন্ন বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক গুলশানের ঘটনায় প্রাণ হারান। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী। সুতরাং জাপানের বিভিন্ন নাগরিকবৃন্দ যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে তাদেরসহ জনগণকে নিরাপদে রাখা ও তাদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছি।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, মঙ্গোলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম, বেলজিয়াম এবং ইইউতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।