ধাঁধার উত্তর খুঁজে পেল না বাংলাদেশ

0
484
blank
blank

অনলাইন ডেস্ক: মনে হচ্ছিল যেন ক্যামেরাম্যান জানতেন এ বলে কিছু একটা হবেই। বলটাকে ক্রস সিমে রেখে দৌড় শুরু করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দৌড়ের শেষ পর্যন্ত ফোকাসে থাকল মোস্তাফিজের বাঁ হাত। একদম শেষ মুহূর্তে উইকেটে ফেরানো হলো ক্যামেরার ফোকাস। বলটা পিচ করেই লাগল রস টেলরের প্যাডে। জোরালো আবেদন, আঙুল তুলে তাতে সারা দিলেন আম্পায়ারও। আউট টেলর, ম্যাচেও ফিরল বাংলাদেশ।

কিন্তু আসলে ফেরা হলো কই? খানিক পরেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আঙুল উঠল না আম্পায়ারের। জিমি নিশামের আউটটা হলে হয়তো ম্যাচ ঘুরে যেত। তা হয়নি, নিউজিল্যান্ডও ম্যাচটা জিতে গেল নিশামের ব্যাটে। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
৩৪তম ওভারে প্রায় নিশ্চিত এলবিডব্লুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া নিশাম (৫২) আউট হলেন ৪৬তম ওভারে। ম্যাচটা এর মাঝেই ছিটকে গেল বাংলাদেশের হাত থেকে। তখন আউট হলে নিউজিল্যান্ডের স্কোরটা হয়ে যেত ১৬২/৫। পঞ্চম উইকেটটা পড়ল ৬৫ রান পরে, ততক্ষণে ক্রিকেটের সকল অনিশ্চয়তার সূত্র উবে গিয়ে ম্যাচ হেরে গেছে বাংলাদেশ।
২২৭ রানে নিল ব্রুমের আউট, আর শেষ বেলায় নিশামের ফেরাটা শুধু ম্যাচের ফল জানার অপেক্ষাকে দীর্ঘ করেছে, আর কিছু নয়।
অথচ অনেক দিন পর মোস্তাফিজের বোলিং কী আশাই না জাগাচ্ছিল। এ মাঠের ইতিহাসও। শেষ দিকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে না পারায় স্কোরটা খুব বড় হয়নি বাংলাদেশের। শেষ ১০ ওভারে হাতে উইকেট আর সেট ব্যাটসম্যান নিয়েও বাংলাদেশ মাত্র তুলতে পেরেছে ৬৭ রান।
সৌম্যের ৬১, মুশফিকের ৫৫ ও মাহমুদউল্লাহর ৫১ রান যখন ২৫৭ রান এনে দিল; অতীত রেকর্ড একটা আশা দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। এ মাঠে যে এত রান করে হারেনি কেউ!
কিন্তু শেষের ওভারে প্রত্যাশামতো রান তুলতে না-পারা, দু-একটা হাফ চান্স ও আম্পায়ারের ওই ছোট্ট একটা সিদ্ধান্তই হয়তো ম্যাচটা থেকে ছিটকে নিল বাংলাদেশকে। মোস্তাফিজ ও রুবেলের বোলিংটাই সান্ত্বনা হয়ে থাকল। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেই চিরন্তন আক্ষেপটাও—ইশ্‌, আর ২০টা রান যদি বেশি হতো!
নিউজিল্যান্ডকে কখনো বিদেশের মাটিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ জয়ের সবগুলো দেশের মাটিতে। অথচ বাকি ৮ প্রতিপক্ষের সবার সঙ্গে বিদেশের মাটিতে একটি করে ম্যাচ হলেও জিতেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড কী এক ধাঁধা হয়ে আছে। দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ডকে পেয়েও যে ধাঁধার উত্তর খুঁজে পেল না বাংলাদেশ।