নারী নির্যাতন মহামারি আকার ধারণ করেছে: খালেদা জিয়া

0
443
blank
blank

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমানে আমাদের সমাজ অনেক দিক দিয়ে অগ্রগতি সাধিত হলেও নারীরা সমাজে এখনো নানাভাবে বঞ্চনার শিকার। বর্তমানে নারী নির্যাতন মহামারি আকার করেছে। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া শত বাধা সত্ত্বেও নারীসমাজকে স্বাবলম্বী করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, বেগম রোকেয়া তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতি জীবনের এই তিনটি ক্ষেত্রে নারীকে স্বায়ত্তশাসিত ও আত্মমর্যাদাশীল হতে তিনি গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আর এজন্য তিনি বিশ্বাস করতেন নারীকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, নারীর ওপর নির্যাতনে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বোচ্চ পর্যায়ে। নারী মুক্তির দিশারি মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার দেশে এই অরাজকতা দূরীভূত করে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি প্রধান।

বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ নারীসমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তার অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

তিনি বলেন, রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এ দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। তিনি তার নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পিছিয়ে থাকা অবস্থান। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন পশ্চাৎপদ অবস্থানের কারণেই নারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, মানুষের সহজাত সব ধরনের অধিকার থেকে।

খালেদা জিয়া বলেন, বেগম রোকেয়া আরো উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন। তার জীবন-সংগ্রামের লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। আর নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে তাকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অবিচল।

বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ সব কথা বলেন।