নার্সিং ইনিস্টিটিউটের সামনে আন্দোলনরত নার্সদের অবস্থান

0
951
blank
blank

ঢাকা: ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে নার্স নিয়োগ পরীক্ষা বর্জন করে শত শত নার্স সমবেত হচ্ছেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে। শুক্রবার সকাল ১০ থেকে পূর্বনির্ধারিত সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের জন্য লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষা বর্জন করে সকাল থেকেই ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের পাশে নার্সিং ইনিস্টিটিউটে সমবেত হতে শুরু করেন নার্সরা।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের দাবি না মেনে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে এখন সরকার পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এই পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। কারণ ঢাকার বেশির ভাগ কেন্দ্র থেকেই নার্সরা পরীক্ষা বর্জন করে এখানে আসতে শুরু করেছেন।’
এবারই প্রথম নার্স নিয়োগে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষাও শুরু হয়েছে।

পিএসসির পক্ষ থেকে গত ২৮ মার্চ সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে ৩ হাজার ৬১৩টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনই আন্দোলনে নামেন কয়েক হাজার বেকার নার্স। ৩০ মার্চ তারা শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করেন। ৪ এপ্রিল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিবিএনএ)’ ও ‘বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি (বিবিজিএনএস)’ নামের এ দুটি সংগঠনের ব্যানারে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। প্রায় এক মাসের অবস্থান শেষে তারা অনশনে যান। তিন দিনের মাথায় গত ১ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেকার নার্সদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তারা অনশন ভাঙেন।

আন্দোলতরত নার্সরা জানিয়েছেন, দাবি আদায়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য গত ২৩ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করা হয়েছিল। সে সময় মন্ত্রী ৩১ মের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় গত বুধবার তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসভবন ঘেরাও করেন। সে কর্মসূচিতে পুলিশ ও সাদাপোশাকের ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তি বিনা উসকানিতে হামলা চালালে অন্তত অর্ধশত আন্দোলনকারী আহত হন।

এদিকে আন্দোলনকারী ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১ হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।