নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

0
509
blank
blank

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ অতিসত্ত্বর বাতিল করার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নিজামীর পক্ষের সাক্ষীর সংখ্যা কমানো, সরকারি সাক্ষীদের জেরা করতে না দেওয়া, বিচারকের স্কাইপ কেলেঙ্কারী, বিচারাধীন মামলা নিয়ে বহিরাগত ব্যক্তির সঙ্গে বিচারকের গোপন পরামর্শ করে কৌশল নির্ধারণ, বিচার প্রক্রিয়ায় আসামিকে আইনগত অধিকার না দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ মামলাটির বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী না হওয়া এবং ন্যায় বিচার নিয়ে প্রশ্ন থাকায় এই রায় কার্যকর করা থেকে বাংলাদেশ সরকারকে বিরত থাকার জন্য বলেছে সংগঠনটি।

একইসঙ্গে সংগঠনটি বলছে, ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আগের মৃত্যুদণ্ডাদেশগুলোর ক্ষেত্রেও ন্যায় বিচার নিয়ে একাধিক প্রসিদ্ধ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। সোমবার রাতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এইচ আর ডব্লিউ।

সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মাওলানা নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর একমাত্র বিকল্প ‘রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা’র সময়সীমা শেষ হলেই যেকোনো সময় রায় কার্যকর করা হবে বলেও প্রেসবার্তায় জানানো হয়।

সংগঠনটি বলছে, এই ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের ব্যাপারে ইতিপূর্বে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ন্যায় বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কয়েকটি মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় কার্যকর করেছে সরকার।

আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংগঠনটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যেকোনো পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডকে স্থায়ী সমাধান মনে করে না। এটাকে অমানবিক ও নিষ্ঠুর শাস্তি হিসেবেই বিবেচনা করে সংগঠনটি। অ্যাডামস বলেন, যখন একটি বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড রক্ষা করার বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন ওঠে, তখন তা বিশেষ একটি সমস্যা হিসাবেই থেকে যায়।

সংগঠনটি বলছে, ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অন্যান্য মামলার মতো এ মামলার সময়ও নিজামীর পক্ষের সাক্ষীর সংখ্যা কমিয়ে নির্দিষ্ট করে দেয় আদালত। যারা নিজামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিত। কিন্তু মাত্র চারজন সাক্ষীকে নিজামীর পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। আর সরকারের পক্ষে প্রসিকিউশন টিমের দেয়া সাক্ষীরা আদালতে অভিযোগের ব্যাপারে অসংলগ্ন সাক্ষ্য দিলেও ওই সাক্ষীদেরকে নিজামীর আইনজীবীদের জেরা করতে দেয়নি ট্রাইব্যুনাল। এমন অভিযোগই করেছে এইচ আর ডব্লিউ।