নির্বাচন হবে ইসির অধীনে, কোনো সরকারের অধীনে নয়: কাদের

0
436
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো দলের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে এবং ইসি চাইলে সময়ের প্রয়োজনে যেখানে দরকার সেখানে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে পারে। রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সমাবেশে দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না— এ বিষয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। সে সময় যে সরকার থাকবে সেই সরকার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো নির্বাচন কমিশনকে একটি নিরপেক্ষ, স্বাধীন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।

নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি (বিচারিক) ক্ষমতা ও ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহারের বিরোধিতা করে বিএনপির দাবির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ইভিএম সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি তিনি চান না, তিনি চান ২০০১ সালের মতো ‘ম্যাকানিজমের নির্বাচন’। সে জন্য তিনি ইভিএম চান না। আমরা ইভিএম চাই। তবে বিএনপির এমন দাবিকে আমি অযৌক্তিক দেখি না, রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা তাদের অধিকার আছে। তবে এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, তারাই ঠিক করবে।

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সেনা মোতায়েন চায় না, কথাটা ঠিক নয়। আমরা চাই, নির্বাচন কমিশন সময়ের প্রয়োজনে যেখানে প্রয়োজন সেখানে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে পারে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রতি প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, আপনি তো দুই দফায় দশ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। কোনো নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছিলেন?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধ আক্রোশের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। প্রধান বিচারপতি সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে আমি পরামর্শ দেব, আপিল বিভাগের যে পাঁচজন বিচারপতি এখন আছে, তাদেরই জিজ্ঞাসা করুন। সরকারই পদত্যাগে বাধ্য করেছে, না তারা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কাজ করবেন না এমন বক্তব্য দিয়েছেন। সেটা তিনি (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) ভালো করেই জানেন, এ জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন। বিদেশে বাংলাদেশের লোক গিয়ে প্রধান বিচারপতির মতো একজন ব্যক্তিকে পদত্যাগে বাধ্য করাবে এমন অভিযোগ হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।