টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়ল একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদ।
এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তড়িঘড়ি করে ভেঙেপড়া ছাদের মালামাল দ্রুত সরিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আগতাড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিসসূত্রে জানা গেছে, (এনবিআইডিজিপিএস-১)-এর অধীনে আগতাড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণের জন্য ২৯ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
নির্মাণের শর্তানুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স আমিন ট্রেডার্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী ৩ জুন ২০১৮ তারিখে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি চলতি বছরের মার্চ মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলেও অফিসসূত্রে জানা যায়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে দ্বিতল ভবনের কাজ শুরু করে এক-তৃতীয়াংশের কাজ শেষ করেন।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ে। ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ছাদ ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ ছাড়া ওই বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ প্রায় ছয় মাস ধরে কচ্ছপগতিতে চলছে এবং বেশিরভাগ সময় কাজ রাতে করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নির্মাণকাজে নিয়োজিত থাকা তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের কাজ দায়সারাভাবে দেখাশোনা করার অভিযোগ করে এলাকাবাসী।
এ ছাড়া ওই ছাদে বিম না করে শুধু কলামের ওপর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে ছাদ ঢালাই করার ফলে ওই ছাদ ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
উপসহকারী প্রকৌশলী (এসইও) মাইনুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, আগতাড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেঙেপড়া ছাদের কাজ নতুন করে শুরু হয়েছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, আগতাড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের নির্মাণকাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।
ঠিকাদার সুমনের সঙ্গে তার মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহীনুর আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, সব বিষয়ে অফিস প্রধানদের মতামতের প্রয়োজন নেই।
তবে কনস্ট্রাকশন কাজের ভুলত্রুটি হতেই পারে, এটি কোনো ব্যাপার নয়। ভুলত্রুটি হলে তা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সমাধান করবে, বলেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.