নির্যাতিত নারী-শিশু লিগ্যাল এইড থেকে যেন বঞ্চিত না হয়: প্রধান বিচারপতি

0
656
blank
blank

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, লিগ্যাল এইড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির আর্থিক অস্বচ্ছলতাসহ অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মামলার গুণাগুণও বিবেচনা করতে হবে। সমাজের সবচেয়ে নির্যাতিত-নিপীড়িত ব্যক্তি বিশেষভাবে নারী ও শিশুরা লিগ্যাল এইড থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড বিষয়ক আইন-কানুনকে প্রতিটি ল’স্কুলের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যেন শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ের ওপর বিস্তৃত জ্ঞান লাভ করতে পারে। ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা: চলমান প্রক্রিয়া ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি রবিবার এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি আশা করি সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুপ্রিম কোর্টে সরকারি আইন সেবা কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। আইনজীবীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ যাতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অসহায় ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মামলাসমূহ পরিচালনা ও নিষ্পত্তিতে সহায়তা করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বার কাউন্সিল, বার অ্যাসোসিয়েশন, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীসহ বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অসহায় বিচারপ্রার্থীদের যত দ্রুত আইনি সেবা দেয়া যাবে ততবেশি তারা আইন সহায়তার সুফল পাবেন। এখন পর্যন্ত আইনিসেবা বলতে আমরা আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তাকেই বুঝি। আইনি বিষয়ে তথ্য প্রদান, পরামর্শ ও মীমাংসাও কিন্তু কার্যকর আইন সহায়তা। কিছু কিছু বিষয়ে আইন সহায়তা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের দৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণকেও স্থান দেওয়া উচিত।