এক গৃহবধূকে চারজন যুবক মিলে গণধর্ষণ করেছে। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের পর ওই নারীকে নৃশংস অত্যাচারও করেছে ধর্ষকরা। নির্যাতিতা নারীর গোপনাঙ্গে লাঠি ঢোকায় তারা। এরপর স্বামীর কাছে ধর্ষণের ঘটনা বলায় ওই নারীকে ‘নগ্ন’ করে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানালেও কোনো সুফল মেলেনি। অবশেষে ভুক্তভোগী ওই নির্যাতিতা নারীর পরিবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়। পরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্যাতিতা গৃহবধূর দাবি, তার স্বামীর ভাইপোর সঙ্গে একই এলাকার এক যুবতীর সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্ক চললে এর পরিণতি ভাল হবে না বলে হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। সে সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল তারা। হুমকি দেয়ার পরই গত ২৯ জুন এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দিন বাড়িতে একাই ছিলেন ওই গৃহবধূ। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তার বাড়িতে ঢুকে পরে গগন, হরি লাল, ছোটে লাল ও জয় কিশোর। তারা পর্যায়ক্রমে একে একে চারজনই ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে গৃহবধূর পরিবার-পরিজনদের খুনের হুমকিও দেয় ওই চার যুবক।
কিন্তু, স্বামী বাড়ি ফেরার পর পুরো ঘটনা তাকে জানান, ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ। এরপর তার স্বামী অভিযুক্তদের সে কথা জানালে। আবারও চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হন ওই নারী। গৃহবধূর গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে দেয়া হয়। অভিযুক্তরা এখানেই থেমে থাকেননি এরপর নগ্ন করে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয় নির্যাতিতাকে। নৃশংস অত্যাচারের পরও পুরো পরিবারকে খুনের হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা।
নির্যাতিতার স্বামীর দাবি, অভিযুক্ত ওই চার যুবক এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী। তাই নৃশংস অত্যাচারের সময় তারা কাউকেই পাশে পাননি। গ্রামের কেউ যেমন তাদের পাশে এগিয়ে আসেননি, তেমনই জানাজানি হওয়া সত্ত্বেও পুলিশও এ ব্যাপরে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তাই বাধ্য হয়েই নির্যাতিতা ও তার স্বামী কুয়ারা থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু তারপরেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ।
অবশেষে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ও তার স্বামী। পুরো ঘটনা পুলিশ সুপার অজয় কুমারকে জানান তারা।
পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে নড়ে চড়ে বসে কুয়ারা থানা পুলিশ। তারপরই গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়৷
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পুলিশ সুপার অজয় কুমার জানান, ‘ঘটনার তদন্তে উদাসীন পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷’ তিনি আরো বলেন, নির্যাতিতা নারী আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার গোপন জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.