আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের ভুট্টো শাসক বংশের বিখ্যাত সদস্য ফাতিমা ভুট্টো মঙ্গলবার বলেছেন, পাকিস্তানে যারা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন তারা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। আর এ কারণেই দেশটির অবস্থা দিনকে দিন আরো খারপ হচ্ছে। তার বাবা মুরতাজা ভু্ট্টোর ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিস ভুট্টো এই মন্তব্য করেন। মুরতাজা ভুট্টো করাচিতে ভুট্টো পরিবারের বসতবাড়ি ৭০ ক্লিফটনের বাইরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
ফাতিমা ভুট্টো বলেন, “সহিংসতার শিকার লোকদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি পাকিস্তান এখনো অস্বীকার করে চলেছে। যার ফলে পাকিস্তান বিশ্বাসহারা হচ্ছে।” পাকিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্য চলমান সংঘাতের উল্লেখ করে ফাতিমা তার টুইটার হ্যান্ডেলে এমনটাই মন্তব্য করেছেন। তার বাবা মারা যাওয়ার সময় ফাতিমা ছিলেন ছোট্ট কিশোরী। ফাতিমা বলেন, “আমার বাবার হত্যাকারীরা এখনো পাকিস্তান পুলিশ ও রাষ্ট্রের উচ্চপদে কর্মরত আছেন। তাদেরকে আগলে রাখার পাশাপাশি পাকিস্তান এখনো সেই পুলিশ সদস্যদেরকে পুরস্কৃত করে যাচ্ছে যারা ১৯৯৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এক নির্বাচিত এমপিসহ ৭ জনকে হত্যা করেছিল।” “সেই রাতে ৭ ব্যক্তিকে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদেরকে পাকিস্তান রাষ্ট্র মুক্ত করে দিয়েছিল।” ফাতিমা ভুট্টো এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যখন পাকিস্তান থেকে নির্বাসিত বিদ্রোহী বেলুচ নেতাদের একটি অংশ রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য ভারতের কাছে পৌঁছেছে। ওই নেতারা অভিযোগ করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশে ব্যাপকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসময় তারা বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার দাবির বিষয়টিও উল্লেখ করেন। মোরতাজা ভুট্টোরও করাচিতে একজন বেলুচ অনুসারি ছিলেন। আর মোরতাজাও নিজ দেশের রাজনৈতিক ইস্যুতে প্রচারণার ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তা চেয়েছিল। ফাতিমা ভুট্টো তার বাবার স্মৃতিকথামূলক গান সংস অফ ব্লাড অ্যান্ড সোর্ড-এ মোরতাজা ভুট্টোর ভারত সফর এবং ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। মোরতাজা ভুট্টো “সেভ ভুট্টো কমিটি” শিরোনামে একটি রাজনৈতিক আন্দোলনও শুরু করেছিলেন। তার বাবা প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ এবং পরে ১৯৭৭ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের পর তাকে মৃত্যুদণ্ডের দণ্ডিত করার পর ওই আন্দোলন শুরু করেন মোরতাজা। রাজা আনোয়ারও তার বই ‘দ্য টেরোরিস্ট প্রিন্স’-এ দিল্লিতে মোরতাজা ভুট্টোর তৎপরতার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়, মোরতাজা ভুট্টো পাকিস্তানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ভারতের সহায়তা চেয়েছিলেন। সূত্র: দ্য হিন্দু
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.