পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি করে যুবক হত্যার অভিযোগ

0
834
blank
blank

যশোর: যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে এক যুবককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যশোর সদর উপজেলার দৌলতদিহি এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পুলিশ হত্যা করেছে। ছোট ভাই আবিদ হাসান ওরফে টুটুলকেও (২৭) ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তবে যশোর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ডাকাতি করতে গিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে জাহাঙ্গীর নিহত হয়েছেন।

জাহাঙ্গীর যশোর সদর উপজেলার শানতলা উত্তরপাড়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পুরোনো বস্তা কেনাবেচার ব্যবসা করতেন তিনি।

পুলিশের পক্ষ থেকে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন যুবক হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে খবর আসে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দৌলতদিহি এলাকায় ডাকাতির জন্য দুই পক্ষ জড়ো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবক পড়ে রয়েছেন। ওই যুবককে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে তাঁর পরিচয় জানা গেছে। তিনি জাহাঙ্গীর আলম। দাগি সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে।
ওসি বলেন, ডাকাতদের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিজেদের ছোড়া গুলিতে জাহাঙ্গীর নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শাটারগান (বন্দুক), একটি গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে নিহত জাহাঙ্গীরের চাচা আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে তিনটি গাড়িতে করে বাড়িতে পুলিশ আসে। পুলিশ বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর ও তাঁর ছোট ভাই আবিদকে আটক করে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। রাতে অনেক খোঁজখবর করেও জাহাঙ্গীর ও আবিদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকালে জেনারেল হাসপাতালের চাকরি করা এক আত্মীয়কে ফোন দিয়ে জানতে পারি, রাত তিনটার দিকে পুলিশ জাহাঙ্গীরের লাশ হাসপাতালে রেখে গেছে।’
আবদুর রহমান দাবি করেন, পুলিশ জাহাঙ্গীরকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে গেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে পেন্ডিং মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়েছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর জেলা আওয়ামী লীগের এক পক্ষের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। স্থানীয় প্রতিপক্ষের দ্বন্দ্বের শিকারও হয়েছেন তিনি।

এদিকে ওসি জাহাঙ্গীর বা আবিদ কাউকেই পুলিশ আটক করেনি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় হত্যাকাণ্ড ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে।