পুলিশ শিগগিরই দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

0
490
blank
blank

ঢাকা: আইন-শৃংখলা বাহিনী অতি শিগগিরই দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ। রোববার বিকেলে রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে ‘দেশে চলমান গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদী তৎপরতা’র প্রতিবাদে ১৪ দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাদের অংশগ্রহণে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

দেশের চলমান গুপ্তহত্যার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তোফায়েল বলেন, দেশের আজকের অশান্ত পরিবেশের জন্য খালেদা জিয়া দায়ী। পুরোহিতকে হত্যা করা হয়, বেছে বেছে টার্গেট কিলিং করা হয় যাতে প্রতিবেশী দেশ প্রতিক্রিয়া দেয়।

‘কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে জঙ্গিবাদী কর্মসূচি নির্মূলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা সম্পূর্ণভাবে জঙ্গিবাদকে নির্মূল করবো। আর এতে খালেদা জিয়া অতীতের মত ভবিষ্যতেও পরাজিত হবেন’ যোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, উত্তরায় যে অস্ত্র পাওয়া গেছে তা যৌথবাহিনীর অভিযানের ফসল। দুষ্কৃতিকারীরা উপলব্ধি করেছে তাদের পথ সঠিক নয়।

‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ হারাম’- লক্ষাধিক আলেম স্বাক্ষারিত ফতোয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একলক্ষ আলেম ফতোয়া দিয়েছে জঙ্গি তৎপরতা ইসলামে নিষিদ্ধ ও হারাম। কিন্তু সেখানে খালেদা জিয়া জঙ্গিদের আড়াল করার জন্য প্রত্যেক দিন ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে বক্তৃতা করেন। এতে মূলত জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের পক্ষ গ্রহণ করে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন তিনি।

তোফায়েল বলেন, ইফতার পার্টিতে মানুষ আল্লাহর নাম নিয়ে মুনাজাত করে পরম করুণাময়ের কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু খালেদা জিয়া প্রত্যেকদিন গলা ফাটিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমনকি শেখ হাসিনাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন।

একই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজধানীর আসাদগেটে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে চিরতরে এদেশ থেকে বিতাড়িত করতে বড় ধরনের অ্যাকশনধর্মী কর্মসূচি দেয়া প্রয়োজন। এটা হতে পারে ৫০ থেকে এক লাখ লোকের একসঙ্গে মিলিত হয়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল।

তিনি বলেন, খণ্ড খণ্ড কর্মসূচি না দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সকল শক্তিকে একই প্লাটফর্মে এসে জঙ্গি ও গুপ্তহত্যাকারী ও তাদের দোসরকের প্রতিহত করতে হবে। কারণ রাজনীতিতে প্রকাশ্য শত্রুর চেয়ে এই গোপনীয় শত্রুরা অনেক বেশি ভয়ংকর।

সরকার সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যার কারণে তার সরকার ভীত নয় বলে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, তার বিশ্বাস- জঙ্গি, গুপ্তহত্যাকারী, এদের পেছনে যারা আছে, অর্থ যোগান দিচ্ছে তারা সকলেই পরাজিত হতে বাধ্য।