পেট্রোল বোমার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

0
550
blank

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও পেট্রোল বোমার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির এই দেউলিয়াপনার শেষ কোথায় দেখার জন্য জাতি অপেক্ষা করছে।’

বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে ‘শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ’ ও ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখেন বিএনপি কী রকম দল এটা, কী জঘন্য দল। বিএনপির একটা সংবিধান আছে, গঠনতন্ত্র যাকে বলে, কি আছে না? আওয়ামী লীগেরও গঠনতন্ত্র আছে, সকল দলের গঠনতন্ত্র আছে। বিএনপির সংবিধানে সাত ধারা নামে একটি ধারা ছিল। কিন্তু এখন নেই। রাতের আধারে সাজার ভয়ে মামলার এক কলমের খোঁচায় নির্বাসনে চলে গেছে।’

তিনি বলেন, ৭ ধারায় কী আছে। প্রথম আছে বিএনপির কোনো পর্যায়ে কর্মকর্তা, সদস্য হওয়া যাবে না। জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করা যাবে না। যদি কোনো ব্যাক্তি ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দন্ডিত হয়ে থাকে।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি করে বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায় ঘিরে যদি ‘আগুন নিয়ে খেলা’ হয়। তাহলে আমরা তার সমুচিত জবাব দেব।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কারাগারে থাকার স্মৃতিচারণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের একদিন রিমান্ড থেকে এসেই কান ধরে উঠবস করে বললেন, ভাই আমি আর রাজনীতি করবো না। আর পাগলামী করবো না। আমি বললাম কেনো ভাই, কি হয়েছে, আমি লেখা-পড়া করি। আমি একটা লেখা-পড়া জানা মানুষ। ভালো জায়গায় থাকতে চাই।’

তিনি আরো বলেন, আমি এখন তাকে (ওবায়দুল কাদের)বলতে চাই, আপনি কথাবার্তা উল্টাপাল্টা বলতেছেন। ফলে রাজনীতি বাদ দিয়ে দিন। ঘরে বসে লেখা-পড়া করেন। কারণ আওয়ামী লীগের লোকজন গোপন কথা ফাঁস করেন না। কিন্তু আপনি তো গোপন কথা ফাঁস করছেন।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির (উত্তর) আয়োজিত এক কর্মীসভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ওবায়দুল কাদের এছাড়াও ওই সময় আমাদের সাথে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সাহেবও ছিলেন। তখন আমরা এক সাথে খেতাম। আমরা বাসা থেকে খাবার আানি এবং তারাও বাসা থেকে খাবার আনে। আমরা তাদের খাবার খাই, আর তারা আমাদের খাবার খায়। ওই সময় তারা বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা সমর্থন দেবো। আর আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়নের জন্য আপনারা সমর্থন দেবেন। সবাই ভালো, এত ভালো আওয়ামী লীগ আল্লাহ কসম, এত ভালো, কি মহীউদ্দিন খান আলমগীর, কি শেখ সেলিম, কি নাসিম- এত ভালো? কিন্তু বের হওয়ার পরেই চেহারা পাল্টে গিয়েছে। এখন দেখা হলেও কথা কয় না।