প্রবাসীরা এমপি ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী

0
485
blank

ঢাকা: আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্থানীয় সরকার পদে নির্বাচন করতে পারবেন। তারা রাজনৈতিক সংগঠন করারও সুযোগ পাবেন। কিন্তু তারা জাতীয় সংসদের সদস্য পদ (এমপি) ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ প্রজাতন্ত্রের কোনো কাজে নিয়োগ লাভ করতে পারবেন না। বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি ওঠায় নাগরিকত্ব আইনের খসড়ায় এ বিষয়ে সংশোধন আনা হয়েছে। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সেমিনার শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি নামে প্রবাসীদের একটি সংগঠন এই সেমিনারের আয়োজন করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভা নাগরিকত্ব আইন-২০১৬ এর খসড়াটি অনুমোদন করে, যা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত আইনটিতে ৫-এর (২) (ক) উপধারায় বলা হয়েছে, বংশসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য জন্মের দুই বছর বা আইনটি বলবৎ হওয়ার দুই বছরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জন্মনিবন্ধন করতে হবে। ফলে দুই বছরের মধ্যে জন্মনিবন্ধনে ব্যর্থ হওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রবাসীরা বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। এ ছাড়া এ ধারায় যেভাবে শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাতে তৃতীয় প্রজন্মের প্রবাসীদের (যারা পিতার বংশসূত্রে নাগরিক হয়েছেন) বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার কোনো সুযোগই পাবেন না।
আইনমন্ত্রী এ ধারা সংশোধনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমরা ভেটিংয়ের সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিবন্ধন করতে হবে, কিন্তু কোনো সময় বেঁধে দেওয়া থাকবে না। এ ছাড়া এ ধারায় বলা ছিল, কোনো ব্যক্তি বংশসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হবেন না যদি তার পিতা বা মাতা তার জন্মকালে বাংলাদেশ সরকারের অধীন কিংবা প্রেষণে বা লিয়েনে অন্যত্র চাকরিতে নিয়োজিত না থাকেন। এ ধারাটিও তুলে দেওয়া হবে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেছেন, আইনে এমন কোনো ধারা রাখা হবে না, যাতে প্রবাসীরা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েন। যে দেশের নাগরিকই হোক, প্রবাসীদের তাদের সব সম্পত্তির ওপর অধিকার থাকবে। এমন কোনো আইন হবে না, যা জনবান্ধব নয়।
আইনটি নিয়ে কাজ শুরুর সময় তা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। সেমিনারে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাবিত আইনের নানা দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেছেন।