প্রবাসী প্রার্থীদের পদচারণায় মুখরিত জগন্নাথপুর

0
1050
blank
blank

জগন্নাথপুর: নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৮ মে পঞ্চম ধাপে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন থাকলেও হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এবার মিরপুর ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রার্থীরা ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে পূর্ণাঙ্গ তফসিলের আগেই জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। ইতিমধ্যে দলীয় প্রতীক পেতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জোর লবিং করছেন প্রার্থীরা। দলীয় প্রতীক পেলে সহজে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এটা মনে করে মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় প্রতীক পেতে তীব্র প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে কোনো কোনো নেতার বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কে পাচ্ছেন দলীয় প্রতীক, তা দেখার জন্য অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। দলীয় প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। যদিও অনেক আগে থেকেই অধিকাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থী এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য প্রার্থীরাও প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ পর্যন্ত ৭টি ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যারা গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন: উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান (জামায়াত), যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল হাসিম (আওয়ামী লীগ), আবদুল মালিক (আওয়ামী লীগ), আলাল হোসেন রানা (আওয়ামী লীগ), দ্বীপক কান্তি দে (আওয়ামী লীগ), জাবেদ আলম কোরেশী (বিএনপি), যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক মিয়া (বিএনপি), আবদুল হামিদ (বিএনপি) ও সিদ্দিকুর রহমান (বিএনপি)। ২নং পাটলি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য সিরাজুল হক (আওয়ামী লীগ), শাহ আবদুর রকিব (আওয়ামী লীগ), আংগুর মিয়া (আওয়ামী লীগ), মো. দবির মিয়া (জাপা), যুক্তরাজ্য রফিকুল ইসলাম রফু (বিএনপি), যুক্তরাজ্য প্রবাসী আজিজুল ইসলাম আসিফ (বিএনপি), যুক্তরাজ্য হারুন মিয়া (বিএনপি) ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছদরুল ইসলাম সুফি (স্বতন্ত্র)। ৩নং মিরপুর ইউনিয়নে সীমানা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এবারসহ ১৪ বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। ৪নং জগন্নাথপুর সদর ইউনিয়ন ১৯৯৯ সালে পৌরসভায় উন্নীত হয়। ৫নং চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আরশ মিয়া (আওয়ামী লীগ), মো. শহিদুল ইসলাম বকুল (আওয়ামী লীগ), আবদুল গফুর (আওয়ামী লীগ), জিল্লুর রশীদ লিল (আওয়ামী লীগ), সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খসরু (বিএনপি), আবদুর রব ও যুক্তরাজ্য মুজিবুর রহমান (বিএনপি)। ৬নং রানীগঞ্জ ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ মজলুল হক (আওয়ামী লীগ), সাবেক চেয়ারম্যান আমেরিকা প্রবাসী আবদুল হাফিজ (আওয়ামী লীগ), জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু (আওয়ামী লীগ), হাজী সুন্দর আলী (আওয়ামী লীগ), ডা. ছদরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), শহিদুল ইসলাম রানা (আওয়ামী লীগ), সাহেদ আলী সরকার (আওয়ামী লীগ), আজমল হোসেন মিঠু (আওয়ামী লীগ), হুমায়ুন আহমদ তালুকদার (আওয়ামী লীগ), শামসুল ইসলাম (বিএনপি), আনহার মিয়া (বিএনপি), আমান উল্লাহ লেচু (বিএনপি) ও বর্তমান ইউপি সদস্য মুক্তার মিয়া (জাপা)। ৭নং সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসান (আওয়ামী লীগ), যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আবদুল হাসিব (আওয়ামী লীগ), যুক্তরাজ্য প্রবাসী তৈয়ব কামালী (আওয়ামী লীগ), যুক্তরাজ্য সালেহ আহমদ ছালিক (বিএনপি) ও সৈয়দ মোসাব্বির আহমদ (বিএনপি)। ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব খান (আওয়ামী লীগ), সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল আহাদ মদরিছ (আওয়ামী লীগ), সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহ আবু ইমানী (আওয়ামী লীগ), আজাদ কবেরী (আওয়ামী লীগ), সিরাতুল আম্বিয়া টিপু (জামায়াত) ও রাজন মিয়া স্বতন্ত্র। ৯নং পাইলগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন (আওয়ামী লীগ), সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী মঞ্জুর আলী আফজল (আওয়ামী লীগ), সুন্দর উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) ইকবাল হোসেন (আওয়ামী লীগ), সাবেক ছাত্রনেতা ই্য়াসিন খান (জামায়াত), যুক্তরাজ্য প্রবাসী জালাল উদ্দিন (বিএনপি), যুক্তরাজ্য প্রবাসী শামীম হোসেন (বিএনপি), মাওলানা দবিরুল ইসলাম (বিএনপি) ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মখলিছ আলী (স্বতন্ত্র)।