বছরে রোগী প্রতি সরকারের ব্যয় ৭৬ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
598
blank

বর্তমানে বছরে চিকিৎসা বাবদ সরকারিভাবে রোগী প্রতি ব্যয় হয় ৭৬ হাজার ৩৭৩ টাকা। একই ভাবে পথ্য বাবদ (খাবার) রোগী প্রতি দৈনিক ব্যয় হয় ১২৫ টাকা। বর্তমান জনবান্ধব সরকার প্রায় প্রতি বছরই মাথাপিছু চিকিৎসা ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়েছেন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. মামুনুর রশীদ কিরণের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংসদকে এই তথ্য জানান।

দিদারুল আলম চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)’র সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী এমবিবিএস রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সংখ্যা ৮৭ হাজার ৩২১জন এবং বিডিএস রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সংখ্যা ৮ হাজার ৫১৫ জন। এসব চিকিৎসকের মধ্যে সারাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৪১ জন। এছাড়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জূনসহ অন্যান্য অনুমোদিত মেডিকেল কলেজে প্রতি বছর ২ হাজার ৮৪৬ জন বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কোর্সে চিকিৎসক ভর্তি হচ্ছে। তাছাড়া নতুন ভাবে ডেপুটেশন কমিটি যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ টাস্কর্ফোস গঠন করা হয়েছে।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গরীব-দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবা সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, দেশের প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে যাতে গরীব-দুঃস্থ রোগীরা বিনামূল্যে-নূন্যতম মূল্যে চিকিৎসা সেবা. পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ পেতে পারে সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করার কতার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এটা সঠিক নয়। কিছু কিছু ঔষধের মূল্য আগের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কিছু কিছু ঔষধেরে মূল্য আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ঔষধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সর্বদা তৎপর রয়েছে। ঔষদ প্রশাসন অধিদফতর কেবলমাত্র প্রাইমারী স্বাস্থ্য সেবার তালিকার্ভুক্ত ১১৭টি জেনেরিক নামের ঔষধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

শেখ মো. নুরুল হকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমানে সারাদেশে মোট সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এ সকল ক্লিনিকে প্রতিটিতে ১ জন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছে। এসব ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে ৩৮ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭৪ কোটির অধিক ভিজিটের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সেবা গ্রহণ করছেন।