বরগুনায় আনারসে ভোট দেয়ায় নারীর হাতের রগ কর্তন

0
565
blank
blank

আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার অপরাধে বরগুনার আমতলী উপজেলায় মাফিয়া বেগমকে (৪০) কুপিয়ে হাতের রগ কেটে দিয়েছে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক সিদ্দিক মাদবর নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার টেপুরা গ্রামের সিদ্দিক মাদবর সদ্যসমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক প্রার্থী সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজুর পক্ষে প্রতিবেশী জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মাফিয়ার বেগমের কাছে ভোট চায়। কিন্তু মাফিয়া বেগম তার পছন্দের প্রার্থী গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়। এ ঘটনা জানতে পারে সিদ্দিক।

মঙ্গলবার সকালে মাফিয়া বেগম সিদ্দিক মাদবরের বাড়ির টিউবওয়েলে পানি আনতে যান। এ সময় সিদ্দিক মাদবর প্রতিবেশী মাফিয়া বেগমকে আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক সিদ্দিক মাদবর ক্ষিপ্ত হয়ে আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার অপরাধে মাফিয়া বেগমের বাম হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে মাফিয়া বেগমের বাম হাতের কব্জির রগ কেটে যায়।

এ সময় তার ডাকচিৎকারে মেয়ে লিমা বেগম (২০) এগিয়ে এলে সিদ্দিক মাদবরের স্ত্রী লিলি বেগম ও ছেলে সুমন লিমাকে পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক মাফিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরঙ্গ হাজরা বলেন, মাফিয়া বেগমের বাম হাতের রগ কেটে যাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত মাফিয়া বেগম বলেন, সিদ্দিক মাদবর আমার কাছে ঘোড়া প্রতীকে ভোট চেয়েছিল। আমি তার কথায় ভোট না দিয়ে আমার পছন্দের প্রতীক আনারসে ভোট দিয়েছি। আনারসে ভোট দেয়ার অপরাধে সিদ্দিক মাদবর আমাকে কুপিয়েছে এবং তার স্ত্রী লিপি ও ছেলে সুমন আমার মেয়ে লিমাকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

ঘোড়ার সমর্থক সিদ্দিক মাদবরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে লিয়া জানান, সকালে ঝগড়া হয়েছিল। তবে আমার বাবা কাউকে মারধর করেনি।

আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।