ঢাকা: বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারীদের যৌন হয়রানিতে জড়িত কাউকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা যায়নি। এ বিষয়ে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ষবরণে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত ৮ যৌন হয়রানিকারীর আসল নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, মামলার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ভিড়ের মধ্যে ৮-১০ জন দুষ্কৃতকারী কতিপয় নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যও প্রমাণিত হয়।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত ৮ জন নারী লাঞ্ছনাকারীকে গ্রেফতার করতে না পারায় এবং ঘটনার জড়িত কোনো আসামির সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় এবং তদন্তের সীমা নির্দিষ্ট হওয়ায় মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হলো। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করলে তারা মামলার বিস্তারিত বিষয় শুনে মামলাটি অহেতুক মুলতবি না রেখে দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের উৎসবের মধ্যে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে ভিড়ের মধ্যে একদল যুবক নারীদের ওপর চড়াও হয়। প্রথমে পুলিশ ঘটনাটি এড়াতে চাইলেও বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের দাবির মুখে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা এবং তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন ১৫ এপ্রিল শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ যৌন হয়রানির ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন। এরপর ১৭ মে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি দেখে আট নিপীড়ককে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছিলেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা দেন তিনি। ঘটনার আট মাস পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস ঢাকার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলেন। এত বলা হয়েছে, অপরাধী কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। গত ১৩ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদন দেয়া হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। বৃহস্পতিবার তা সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা জানতে পারেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.