বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত চলছে: শিল্পমন্ত্রী

0
482
blank
ফাইল ছবি
blank

ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকাকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল, একই অপশক্তি এখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অপশক্তির গণতন্ত্র হচ্ছে পেট্রল বোমা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করা। গণতন্ত্রের নামে যারা এ ধরনের গণহত্যা চালায়, একাত্তরের গণহত্যাকারীদের মতো তাদেরও বিচার হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সচিব বিএমএম মোজহারুল হক, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক ও তথ্য) রাজেশ উইকি, মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী বক্তব্য রাখেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মাবলম্বী জনগণ এবং ভারতীয় সেনাসদস্যদের সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার শুধু এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়নি, পশ্চিমা হানাদার বাহিনীকে বিতাড়নের জন্য অস্ত্র ও প্রশিক্ষণসহ সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছে। এ সময় ভারতের সাধারণ জনগণ শরণার্থী বাঙালিকে নিজেদের অন্ন ভাগ করে খাইয়েছে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দুবার বিশ্বভ্রমণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সৃষ্টির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন রক্ষায় কার্যকর অবদান রেখেছিলেন। বাংলাদেশের জনগণের চরম দুঃসময়ে ভারত সরকার ও জনগণ যে বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে, তা ইতিহাসের একটি বিরল ঘটনা।

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান মৈত্রীর বন্ধন রক্ত ও আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি শহীদের পাশাপাশি ১১ হাজার ভারতীয় সৈন্য রক্ত ও জীবন উৎসর্গ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং ভারতীয় সেনাসদস্যদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের জনগণ চিরকাল গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।