বাংলাদেশের জন্যই রোহিঙ্গা সংকট আন্তর্জাতিক ইস্যু: প্রধানমন্ত্রী

0
467
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের পদক্ষেপের কারণেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট এখন বিশ্বাবাসীর মনোযোগের কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফেরার পর শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অাওয়ামী লীগ, ১৪ দল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ক্রীড়া ও ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

মানবিকতার বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয় যখন দিয়েছি, তখন তাদেরকে ভালোভাবে রেখে সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেব। দেশের মানুষের আস্থা ছিল, বিশ্বাস ছিল, সমর্থন ছিল বলেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদেরকে আশ্রয় দেয়া হয়। এ কারণে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত হচ্ছে, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, যা কিছু অর্জন হচ্ছে— তার সবই তাই এদেশের মানুষের কল্যাণে, তাদের সমর্থনে ও দোয়ায়।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের শরণার্থীদের জন্য যে সব দেশি-বিদেশি সংগঠন এগিয়ে অাসছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে অাসবে এটাই স্বাভাবিক। মিয়ানমার সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কারণে রোহিঙ্গারা অামাদের দেশে অাশ্রয় নিয়েছে। তাদের প্রতি মানবিক হওয়া জন্য সকলের প্রতি অাহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে উত্তেজনা তৈরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একেবারে প্রতিবেশী দেশ এমন ভাব দেখালো, যেন আমাদের সঙ্গে যুদ্ধই বেধে যাবে। আমি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশকে সতর্ক করলাম। কোনও বিভ্রান্তি যেন না হয়। যতক্ষণ আমি নির্দেশ না দেব কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। আমরা সতর্ক ছিলাম। এজন্য ধন্যবাদ জানাই পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিকে।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণ ছিল অামাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অামরা প্রমাণ করেছি যে, অামরা পারি। বিশ্বব্যাংক দুনীতির অভিযোগ তুলে পদ্মাসেতুতে টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তাতে এ সেতুর কাজ বন্ধ হয়নি। অামাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর কাজ করছি। প্রথমে অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনি নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যাবে। এখন কিন্তু অামরা প্রমাণ করেছি, এটা করা সম্ভব।

জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের সফর শেষে শনিবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী গণভবনের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। এই যাত্রাপথে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ফুল ও বাদ্যযন্ত্র, রঙবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার এবং জাতীয় পতাকা হাতে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।