বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত

0
462
blank

ঢাকা: বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থান বহাল রেখেছে উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় বাংলাদেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুক। নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে অটুট রয়েছে। এতে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বুধবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন মুখপাত্র জন কিরবি।

বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে কিরবি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার মতো আমরা বাংলাদেশেও মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা ও সংবাদ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেখতে চাই।
প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশের এক সাংবাদিক জানতে চান, আপনাদের একজন সহকর্মী ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাস মান্নানকেকে খুন করা হয়েছে, যেটি আপনিও জানেন। আর এটা এখন বাংলাদেশের নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুদিন আগেও বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এক বৌদ্ধ সন্নাসীকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? আর এ ইস্যুতে আপনি কী জানেন?

জবাবে জন কিরবি বলেন, এই বিষয়টিতে আমি সুনির্দিষ্টভাবে অবগত নই। আপনি আমাকে যে বিষয়টিতে প্রশ্ন করেছেন তার কোনো আপডেট এ মুহূর্তে আমার হাতে নেই। প্রশ্নটি নিলাম, পর্যাপ্ত তথ্য নিয়ে আপনাকে জানাবো।
দ্বিতীয়ত ওই সাংবাদিক আরো জানতে চান, বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অত্যন্ত সু-স্পষ্ট। গত ২০১৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল। আর সেটি ছিলো একতরফা নির্বাচন। নির্বাচনের পরই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য তাগাদা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে এ বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? কারণ, সরকার ইতোমধ্যে দুই বছর পার করেছে। দেশে এখন সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই, বিচাবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড চলছে। যুক্তরাষ্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রতিবেদনেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এ ইস্যুতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র কী অবস্থান নিয়েছে? সম্প্রতি দুজন সহকারি সেক্রেটারি বাংলাদেশ সফর করেও এসেছেন।

জবাবে জন কিরবি বলেন, ‘আমরা এখনো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চাই। আমরা এখনো দেখতে চাই বাংলাদেশের মানুষেরা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাতে অংশ নিতে পারে। আমরা আরো দেখতে চাই বাংলাদেশেও মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আর এসব ব্যাপারে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সত্যিকার অর্থে আমাদের আগের অবস্থান এখনো রয়ে গেছে, এটার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।’