বাংলাদেশে এখনও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে: অস্ট্রেলিয়া

0
479
blank
blank

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে পশ্চিমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার যে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ ছিল তা এখনও বলবৎ রয়েছে বলে মনে করছে অস্ট্রেলিয়া। ওই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি জাতীয় ক্রিকেট টিমের ঢাকা সফর প্রথমে স্থগিত ও  পরে বাতিল করা হয়। ঢাকা সফররত অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক দূত মাইলস আরমিটাজ গতকাল পররাষ্ট্র দপ্তরে গিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে মাইলস আরমিটাজ তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিদ্যমান ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতারও  প্রস্তাব করেছেন। বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ান দূতের সঙ্গে ঢাকাস্থ দেশটির হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ডেস্কের মহাপরিচালক রাবাব ফাতিমা এবং জাতিসংঘ ও মানবাধিকার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান।

সূত্র মতে সকালে সেগুনবাগিচার বৈঠকে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক এবং সহযোগিতায় উভয়পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে আগামী দিনে এটি আরও বিস্তৃত ও গভীর করার বিষয়ে জোরালো আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার আগাম সতর্কতা এবং পরবর্তীতে ঢাকার কূটনৈতিক জোন ও রংপুরে দু’জন বিদেশী নাগরিকের নির্মম হত্যাকা-ের প্রেক্ষিতে সরকার বিদেশীদের নিরাপত্তায় যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা তুলে ধরেছেন পদস্থ ওই কর্মকর্তারা। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও অস্ট্রেলিয়ান দূতকে অবহিত করেছেন তারা। একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল টিমের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর সফল হওয়ার। অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকা সফরে রয়েছেন। গতকালই তিনি সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধির সঙ্গে তার আরও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশে দু’জন বিদেশী নাগরিক খুন হওয়াসহ সামপ্রতিক সংঘটিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ার ওই পদস্থ কর্মকর্তার ঢাকা সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। যদিও সফরটির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কিংবা ঢাকাস্থ দেশটির হাইকমিশনের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।