বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের নিকট শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের আকূল আবেদন

0
1245
blank
blank

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের নিকট শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের আকূল আবেদন

শ্রদ্ধেয় স্যার,
অতীব বিনয়ের সাথে আপনাদের সদয় বিবেচনার জন্য আমরা সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষানবীশ আইনজীবীগন সম্মিলিত ভাবে আকূল আবেদন জানাচ্ছি যে, আমরা কেউ বিগত ১০ বছর, কেউ ৭ বছর আবার কেউবা ৫ বছর যাবৎ শিক্ষানবীশ হিসেবে মহান আইন পেশায় আপনাদের অনুগত ও বাধ্যগত জুনিয়র হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন বার এসোসিয়েশনে আপনাদের সহচর্যে থেকে অত্যান্ত স্বল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সেবা প্রদান করে আসিতেছি।

কিন্তু অত্যান্ত মর্মাহত ও ব্যথিত চিত্তে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমরা বাংলাদেশের শিক্ষানবীশ আইনজীবীগন এক চরম সংকটময় সময় অতিবাহিত করিতেছি। সারা পৃথিবীতে এই করোনা ভাইরাস নামক মহামারির কারনে আমরা অত্যান্ত মানবেতর জীবন-যাপন করিতেছি। আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় আমরা বার কাউন্সিল কিংবা বার এসোসিয়েশন থেকে আর্থিক, মানসিক ও আইনগত অধিকার থেকে সম্পূর্ণরুপে বঞ্চিত হয়ে আছি।

এই পরিস্থিতিতে আমরা দূর্ভাগ্যজনক ভাবে বা অদৃষ্টের নির্মম পরিহাসে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনের কারনে বা অতিরিক্ত কঠোর পরীক্ষা পদ্ধতি চলমান থাকায় বা ৩/৪ বছর পর পর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় জীবনের অনেক মূল্যবান সময় আইন পেশায় তালিকা ভূক্তির পূর্বেই হরিয়ে যাচ্ছি।

স্যার, মহামারির কারনে বর্তমানে এক সংকটময় সময় আমরা অতিবাহিত করিতেছি এবং এর সময়কাল আমাদের সকলেরই অজানা। সকল পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্য ঢাকায় জড়ো হলে তাদের থাকার জন্য কোন প্রকার বাসা ভাড়া পাওয়া যাবে না এবং এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে সংশ্লিষ্ট সকলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এমতপরিস্থিতিতে আমারা যাহারা কঠোর অধ্যাবসয়ের মাধ্যমে কেউ ২০১৭ সালে আবার কেউ বা ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এম সি কিউ পরীক্ষায় তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাশ করেছি তাদের পরবর্তী লিখিত পরীক্ষা মহামারির কারনে মওকুফ করে ভাইভা নিয়ে অথবা গেজেট করে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্তির জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করিতেছি।

বি:দ্র: স্যার, বার কাউন্সিলের ইতিহাসে দেখা যায়, দেশের এক সংকটময় মূহর্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বার কাউন্সিল তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে শিথিলতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমাদের প্রান প্রিয়
নেত্রী মাননীয়া প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিথিলতা ও অব্যাহতি প্রদানের বিষয়টি মানবিক কারনে বিবেচনা করেছেন।
বিনীত—-
এম সি কিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ন
বাংলাদেশের সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীবৃন্দু।