বাজেট অধিবেশন শুরু, চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত

0
530
blank
blank

দশম জাতীয় সংসদের শেষ বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশন চলবে আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের কার্যউপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত বাজেট অধিবেশন চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে স্পিকার প্রয়োজন মনে করলে এর সময়সীমা বাড়াতে বা কমাতে পারেন। এছাড়া রমজানে প্রতিদিন বেলা ১১টায় অধিবেশন শুরু হবে। তবে ঈদের পর আগের মতোই বিকালে অধিবেশন শুরু হবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, আ স ম ফিরোজ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন প্রমুখ।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার বলেন, বাজেট অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ। এমপিরা সরকারি আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুচিন্তিত মতামত দিয়ে বাজেটকে আরও বাস্তবমুখী করার ওপর আলোচনা করবেন। এরপর চলতি অধিবেশনের সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেন। স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে অগ্রবর্তীজন সংসদ পরিচালনা করবেন।

সংসদের চলমান অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন— আবুল কালাম আজাদ, শামসুল হক টুকু, মাহবুব আলী, ফখরুল ইমাম, সফুরা বেগম।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবনার পর পুরো অধিবেশনজুড়ে তার ওপরে আলোচনা করবেন এমপিরা। সংবিধান অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যেই নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস করতে হবে। বাজেট অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ সময় হয়ে থাকে। সংসদের অন্যান্য অধিবেশন বিকেলে বসলেও রোজার মাস হওয়ায় এ অধিবেশনের কিছুদিনের কার্যক্রম দিনের প্রথমভাগে শুরু হবে। বাজেটের ওপর ৪০ ঘণ্টা আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।

বৈঠকের সিদ্ধান্তনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়া পর্যন্ত প্রতি বৃহস্পতিবার ৪টি সরকারি দিবস হিসেবে গণ্য হবে। ১০ ও ১১ জুন সম্পূরক বাজেট আলোচনার পর পাস করা হবে। এছাড়া ২৭ জুন অর্থবিল এবং ২৮ জুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পাস করা হবে।

এ অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য ৪টি সরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া গেছে। এছাড়া সংসদে পাসের অপেক্ষায় ৪টি, কমিটিতে পরীক্ষাধীন ০৭টি ও উত্থাপনের অপেক্ষায় ২টিসহ অনিস্পন্ন মোট ১৭টি সরকারি বিল এবং অনিষ্পন্ন ০৯টি বেসরকারি বিল এ অধিবেশনে রয়েছে। এ অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য কোন বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর জন্য ১৫০টি ও সাধারণ প্রশ্ন ২ হাজার ৫০৭টিসহ মোট ২ হাজার ৬৫৭টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ১৭১টি ও মনোযোগ আকর্ষণের ৪২টি এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনার জন্য ১টি নোটিশ পাওয়া গেছে।

এবারের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকারও বেশী। যা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট। এবারো ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে বাজেট উপস্থাপন ও বক্তৃতা করবেন অর্থমন্ত্রী। এবার তার সাথে যুক্ত হবে একটি ভিডিও চিত্র। ওই ভিডিও চিত্রে বর্তমান সরকারের সামগ্রিক সাফল্য তুলে ধরা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজেট সংসদে উপস্থাপনের আগে তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন নেয়া হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠক সংসদ ভবনে হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এই দিন সংসদ ভবনে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি। তিনি অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা শুনবেন। সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে আগামী ২৮ জুন পাস হবে। এর আগে চলতি অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাস হবে।