বালিশকাণ্ডে দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা দেখতে চান হাইকোর্ট

0
678
blank
blank

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রে আবাসন প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৩৬ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা দেখতে চান হাইকোর্ট। এ জন্য সরকারকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত। আগামী ২০ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সময় আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। রিট আবেদনকারী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই শুনানি করেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন-২) মো. মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে সাত সদস্যের এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. মঈনুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকার দুর্নীতির প্রমান পায়। এই কমিটি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।

সুপারিশে বলা হয়েছে, দায়ী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্বের গুরুত্ব অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা/ প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রথমে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। এই প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করার জন্য গত ১৫ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। আজই এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়।