বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করলেন গয়েশ্বর

0
474
blank
blank

ঢাকা: বিএনপির শীর্ষ নেতাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, বর্তমান শাসক দল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছেÑ কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের জেলে যেতে হবে। তবে এমনটি ভাবার কোনো কারণ  নেই যে জেলখানায় শুধু আমরাই যাবো। অল্প কিছুদিনের মধ্যে সেখানে তাদের সঙ্গেও দেখা হবে।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত প্রয়াত সাংবাদিক সাদেক খানের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর রায় বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগণ নয়, ভারতের সন্তুষ্ট করেই ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ। কারণ তাদের আবদার পূরণ করেই এখন তারা ক্ষমতায় আছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর রায় বলেন, মোসাদ ইসরাইলের  গোয়েন্দা সংস্থা। তার মানে এই নয় ইসরাইলের সকল লোক মোসাদের সঙ্গে জড়িত। তাছাড়া মোসাদের সঙ্গে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের বৈঠক হলে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার কথা নয়। আমি যতদূর জানি আসলাম চৌধুরীর কাছে বিগত ৭ দিনের মধ্যে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বিএনপি বন্ধুত্ব চায় কারো দাসত্ব নয়। আর বন্ধুত্ব মানেই এই নয় যে, নিজেদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অন্যের নির্দেশনা মানতে হবে। তিনি বলেন, সরকারকে আকার ইঙ্গিতে সন্তুষ্ট করতে পারলে যেমন বাঁচা যাবে তেমনি ক্ষমতায় কে আসলো কে  গেল তা বিবেচনায় না নিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারলে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা যাবে। তিনি বলেন, যত দোষ বিএনপির, আওয়ামী লীগের যেন কোন দোষ নেই। তাছাড়া আমাদের একের অপরের প্রতি অবিশ্বাস কিভাবে সৃষ্টি করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে হাসিনা বান্ধব বেশকিছু গণমাধ্যম। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশের সরকার যদি ক্ষমতাধর হয় তাহলে তা দেশের সর্বনাশ ডেকে আনে। কারণ পেশিশক্তি দিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। যেমনটি পারেনি বৃটিশ এবং পাকিস্তানিরা। জানি সব ফলাফল তাড়াতাড়ি হয় না। তাই আমাদেরও কিছুটা সময় অপেক্ষায় করা লাগতে পারে। কারণ এরশাদ যখন ক্ষমতাচ্যুত হন তখন বড় ধরনের কোন ধাক্কার প্রয়োজন পড়েনি, সামান্য ধাক্কাতেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।