বিএনপি নেতাদের বন্দি রেখে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না: ড. এমাজউদ্দীন

0
443
blank
blank

ঢাকা: বিএনপি নেতাদের বন্দি রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। পৌরসভা নির্বাচনের তোড়জোড়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম এই পরামর্শক।

এমাজউদ্দীন বলেন, একদিকে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। নির্বাচন কমিশন আবার নির্বাচনের কথাও বলছে। নির্বাচন সম্পর্কে এ দলের (বিএনপির) চিন্তা-ভাবনা আমি ভালো করে জানি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, নির্বাচনকে এ দল ভয় পায় না।

কিন্তু যতক্ষণ কারাবন্দি নেতারা মুক্তি না পাচ্ছেন, তাদের মুক্ত করা না হচ্ছে, তাদের মুক্ত না করে নির্বাচন হবে একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন- যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এলেও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর তাদের আস্থা নেই।   

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকার না, সরকারের সৃষ্টি এবং তার নির্দিষ্ট কর্মসূচি থাকবে। ওই কর্মসূচি পালন করতে গেলে যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে নির্বাচন সম্পন্ন না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া ঠিক নয়। ইচ্ছে হলেই নির্বাচন দিয়ে ফেললাম বা হুকুম করা হলো, হুকুম তামিল করলাম- এ রকম নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন নেই।

গত দুই দিনে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কারাবন্দি হওয়ার বিষয়টি স্বাধীনতা ফোরামের ওই আলোচনা সভায় আসে। বিএনপির আরও অনেক নেতাও কারাগারে রয়েছেন। 

‘বিনা কারণে’ গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন বলেন, যাকে খুশি তাকে গ্রেপ্তার করছে। দুই-তিন বছর আগেও এমন অবস্থা ছিল না। এই প্রবণতা ১৯৭৪-৭৫ এ দেখেছি, আর এখন দেখছি।

বিরোধী জোটের প্রায় ৫ লাখ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ হাজার মামলা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার করেছে বলে একটি হিসাব তুলে ধরেন তিনি।