বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

0
487
blank

যশোর: যশোরের শার্শা উপজেলার পুটখালী সীমান্তে শহীদুল ইসলাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। শনিবার সকালে পুটখালী সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২১ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠান। নিহত শহীদুল শার্শার পুটখালী উত্তরপাড়া গ্রামের সাদেক হোসেনের ছেলে।

হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলেই বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবির ২১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আরিফুল হক ও ভারতের পক্ষে বিএসএফের ৬৪ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অজয় কুমার উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির ২১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আরিফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সাথে বিএসএফ অধিনায়ককে বলা হয়েছে, সীমান্তে আর যেন কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা না হয়। কোনো বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে যদি ভারতে গিয়েও থাকে তাহলে আটক করে হত্যা বা নির্যাতন না করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।’ এ বিষয়ে লিখিত প্রতিবাদ লিপি পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে অধিনায়ক জানান।
অধিনায়ক আরিফুল হক বলেন, বিএসএফ অধিনায়ক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে বিএসএফের অধিনায়ক বলেছেন, বাংলাদেশি কয়েকজন নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে গেলে বিএসএফের টহলদল তাদের থামতে বললে তারা বিএসএফের ওপর চড়াও হয়। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। এতে একজন নিহত হতে পারেন। সীমান্তে আর কোনো গুলি চালানো হবে না বলে বিএসএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে বিজিবি অধিনায়ক জানান।
বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ৮ থেকে ১০ জন রাখাল গরু আনতে ভারতে যান। এ সময় বিএসএফের টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফ অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এতে একটি গুলি শহীদুলের কপালে বিদ্ধ হয়। অন্যরা পালিয়ে এলেও শহীদ আর ফিরতে পারেননি। সকালে সীমান্তের ইছামতি নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবি সদস্যদের খবর দেয়।