বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্যে অনেক ‘রথী-মহারথী’ জড়িত: হাফিজ

0
560
blank
blank

ঢাকা: তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্যে অনেক ‘রথী-মহারথী’ জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানায় ‘শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে’ বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) ট্র্যাজেডির ৮ম বার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘বিডিআর হত্যাকাণ্ড: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বিডিআর ট্র্যাজেডি স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শোক ও শহীদ সেনাদিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি করে প্রাক্তন এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনার পেছনে নেপথ্য শক্তি হিসেবে কারা কাজ করেছে, তা এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি। ফলে মূল পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
প্রত্যেকটি বিদ্রোহের ঘটনা সফলভাবে দমন করা গেলেও বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা কেন দমন করা যায়নি- সেই প্রশ্ন তোলেন হাফিজ উদ্দিন।
দেশে বর্তমানে ‘স্বৈরতন্ত্র’ চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে এখন আইনের শাসন, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার বলে কিছু নেই। দেশ এখন একটি দলের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু দেশবাসী কখনো কোনো স্বৈরাচারকে সহ্য করেনি। তাই বর্তমান স্বৈরাচার সরকারকেও বেশিদিন সহ্য করবে না। জনগণের আন্দোলনের মুখেই তাদের পতন ঘটবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের যে নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল, সেটি যে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর চরম আঘাত ছিল, তা আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট। স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার যে চক্রান্ত চলছিল, ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই চক্রান্তেরই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
তিনি আরো বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআর সদস্যদের বিচার হলেও ওই ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিল তাদের কোনো বিচার হয়নি, তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। তাদেরও বিচার করতে হবে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। মূল প্রবন্ধে ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের র্দীঘ প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহাসিক বিডিআরের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম এতজন সেনা কর্মকর্তা নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায়।
দলের মহানগর শাখার সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলুর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, কল্যাণ পার্টি মহাসচিব এম.এম আমিনুর রহমান প্রমুখ।