বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং: আড়ালের ঘটনা

0
511
blank
blank

ডেস্ক রিপোর্ট: বিপিএলে শিরোপা লড়াই ও ম্যাচ ফিক্সিং, দুটোই জমাট আকার ধারন করতে যাচ্ছে। শেষ পর্বের লড়াইয়ে এখন শিরোপাতে চোখ রেখেই এগোচ্ছে দলগুলো। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ছাড়াও নিজেদের দল গুছানোও বড় চ্যালেঞ্জের তাদের কাছে। তেমনি বেশ কিছুদিন ধরে ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেটাঙ্গনে। এর আগেও ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরকে বহিষ্কার করে বিপিএলের গভর্নিং কমিটি। এবারো তেমন অভিযোগ এখন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। গত ৪ নভেম্বর বিপিএল শুরু হওয়ার শিডিউল অনুসারে টস হয়, উদ্বোধনও হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে ওইসব ভেসে গিয়ে ৮ নভেম্বর থেকে আবার মাঠে গড়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট এ লিগ। কিন্তু এ লিগ ৮ নভেম্বরের আগেই ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহ নিয়ে বিপিএলের শেষ দৃশ্যপট আলোচিত হয়ে উঠেছে। কেউ বলছেন বিপিএলের সুনাম ক্ষুণ্নের জন্য একটি মহলের অপচেষ্টা। আবার কারো মতে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের লোভ লালসার বলিতে একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার কলঙ্কিত হয়ে গেছে। কারণ ৫ নভেম্বর শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার জুপিটার ঘোষকে বহিষ্কার করে রংপুর। এবং সেটা বিপিএল কমিটিকেও জানিয়ে দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর এসে সেই ক্রিকেটার জুপিটার ঘোষ তাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিপিএলের গভর্নিং বডির কাছে। আর সেটা ছিল একাদশে থাকতে হলে ফ্রাঞ্চাইজিদের কথামতো পারফর্ম করতে হবে। নিয়ম রয়েছে কেউ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে এক দিনের মধ্যে আকসুর কাছে অভিযোগ দেবে। কিন্তু জুপিটার সেটা দিয়েছেন দীর্ঘ দিন পর। অবশ্য এ ব্যাপারে তার যুক্তি তার কাছে অভিযোগপত্র ছিল না। এখন সেটা রয়েছে। এ জন্যই তিনি দেরিতে অভিযোগ করছেন।
এটাও ঠিক বিসিবি এখন অর্থের কাছেই বিপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি বিক্রি করে আসছে। ক্রিকেটের ব্যাকগ্রাউন্ড বা সুদূর ভবিষ্যতেও ক্রিকেটের উপকারে তারা কিছু করবেন এমন কোনো সম্ভাবনা নেই এমন লোকদেরও শুধু অর্থের জন্যই মুহূর্তের জন্য ক্রিকেটে টেনে আনছেন। যারা অর্থের ঝনঝনানি দিয়ে এক অর্থে ক্রিকেটের ক্ষতিই করে যাচ্ছে। যেমনটা হয়েছে আশরাফুলসহ বেশ ক’জন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে। ক্রিকেটার আশরাফুলকে জাতীয় দলে বড্ড প্রয়োজন থাকলেও দীর্ঘ দিন নিষেধাজ্ঞা মাথায় করে বেড়াতে হয়েছে। এবারো খেলতে পারেননি তিনি বিপিএল। অথচ সামান্য ১০ লাখ টাকার জন্য আশরাফুল বাধ্য হবেন অনৈতিক কাজ করতে নাকি বাধ্য করা হয়েছিল সেটা আজো আড়ালে। একজন ক্রিকেটার তৈরিতে বহু অর্থ খরচ হয় বিসিবির তথা জনগণের। সামান্য অজুহাতে এমন সব ক্রিকেটাদের ক্যারিয়ার কলুষিত করে দেয়া চিন্তার বিষয়ও। জুপিটারের বিপক্ষে অভিযোগ তার হোটেল কক্ষে অতিথি নিয়ে প্রবেশ। অতিথি বলতে মহিলা অতিথি। একজন ক্রিকেটার অনৈতিক কাজের জন্য নিজের টিম হোটেল রুমে নেবে না এমন কাউকে- যার সাথে সময় কাটানো অনৈতিক বলে গণ্য হবে। বহু স্থানই রয়েছে এমন কার্যকলাপ। টিম হোটেলে অনুমতি নিয়েই অতিথি নিয়েছেন। অনুমতি ছাড়া তো হোটেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ, বিশেষ করে বিদেশী ক্রিকেটাররাও যেখানে থাকেন। ফলে রংপুর একজন ক্রিকেটারকে দলভুক্ত করে আবার খেলা শুরুর আগেই তাকে বহিষ্কার করে দেবে এটা কতটা যুক্তি সঙ্গত তা ভেবে দেখার বিষয়। তবে বিসিবি এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আসল কারণ। আসলেই ফ্রাঞ্চাইজির অনৈতিক প্রস্তাব ছিল না জুপিটারের। অবশ্য ইতোমধ্যে রংপুরের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেনকে মাঠে উপস্থিত নিষিদ্ধ করেছে বিপিএল কমিটি। তবে এখনো এ ব্যাপারগুলো স্পষ্ট না। আড়াল-আবডালেই চলছে সবকিছু! অবশ্য রংপুর রাইডার্স এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাদের সুনাম ক্ষুণ্নের জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।