বিরূপ আচরণের জন্য নেদারল্যান্ডকে মূল্য দিতে হবে: এরদোগান

0
532
blank
blank

গণভোটের পক্ষে র‌্যালিতে নিষেধাজ্ঞা ও তুর্কি মন্ত্রীকে প্রচারণা চালানোর অনুমতি না দেয়ায় নেদারল্যান্ডকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, এ আচরণের জন্য নেদারল্যান্ডসকে মূল্য দিতে হবে। গত রোববার ইস্তাম্বুলে একটি অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। এরদোগান বলেন, তাদেরকে অবশ্যই মূল্য দিতে এবং শিখতে হবে ক‚টনীতি কী। আমরা তাদের আন্তর্জাতিক ক‚টনীতি শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো। বক্তব্যে নেদারল্যান্ডকে নাৎসিদের অবশিষ্টাংশ ও ফ্যাসিস্ট বলা ঠিক ছিল বলেও উল্লেখ করেন এরদোগান। তিনি বলেন, শুধু এ ধরনের সরকারই বিদেশি মন্ত্রীদের নিষিদ্ধ করতে পারে। আমি ভেবেছিলাম নাৎসিবাদ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তা ছিলো ভুল। পশ্চিমে এখনও নাৎসিবাদ রয়েছে। তুরস্ককে পূর্ণ প্রেসিডেন্ট শাসিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটিতে গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। সংবিধান সংশোধনের ওই গণভোট উপলক্ষে নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত তুর্কি নাগরিকদের নিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল এরদোগান সরকারের মন্ত্রীদের। তবে নেদারল্যান্ডস তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেশে অবতরণের অনুমতি দেয়নি। পরে তুরস্কের পরিবার মন্ত্রী সড়ক পথে নেদারল্যান্ডস পৌঁছলে তাকেও তুর্কি উপ-দূতাবাসে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া নিরাপত্তার আশঙ্কায় এরদোগানপন্থীদের র‌্যালি ও সমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। নেদারল্যান্ডসের এমন আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে দেশটিতে বসবাসরত তুর্কিরা। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ডাচ পুলিশের। লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমন করেছে ডাচ পুলিশ। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত তুর্কিরা। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ডাচ পুলিশের। লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমন করেছে দেশটির পুলিশ। ইস্তানবুলে এরদোগান সমর্থকরা নেদারল্যান্ডসের কনসুলেট ভবনে ডাচ পতাকা খুলে ফেলে তুরস্কের পতাকা উড়িয়ে দেয়। এর আগে সমাবেশ নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। আর গত শনিবার দেশটিকে নাৎসিদের অবশিষ্ট এবং ফ্যাসিবাদী বলে মন্তব্য করেন এরদোগান।
এদিকে, এরদোগানের এ ক্ষমতাবৃদ্ধির প্রস্তাবের পক্ষে প্রবাসী তুর্কিদের ভোট পেতে তুর্কি সরকার ইউরোপের দেশগুলোতে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তাতে রাজী হচেছ না ইউরোপের একের পর এক দেশ। আর এ নিয়ে এই দেশগুলোর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়েছে এরদোয়ান সরকারের। প্রবাসী তুর্কীদের মধ্যে গণভোটের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সুইডেনের সঙ্গেও তিক্ততা তৈরি হয়েছে তুরস্কের। এরদোয়ানের পক্ষে প্রচারণার জন্যে স্টকহোমে যে হল ঘরটি ভাড়া করা হয়েছিল সেটির অনুমতি মালিক প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সুইডেনে বসবাসকারী তুরস্কের বিরোধী নেতারা বলছেন, এই প্রচারণা খুবই উস্কানিমূলক। জার্মানিও গণভোটের পক্ষে প্রচারণায় বাদ সেধেছে। অপর খবরে বলা হয়, ইউরোপে তুরস্কের সমাবেশ করা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কে শক্ত অবস্থান নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নেতারা। তারা নেদারল্যান্ডকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য এরদোগানকে ক্ষমা চাওয়ার আহŸানও জানিয়েছেন। জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডে তুর্কি সমাবেশে বাধা দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নাৎসিবাদের অভিযোগ তোলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এ প্রসঙ্গে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতে বলেছেন, এমন মন্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এরদোগানকে এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, যথাযথ পদ্ধতিতে আয়োজিত কোনও সমাবেশে তুর্কি মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে তারা বাধা দিতে চান না। এ সম্পর্কে জার্মানির অবস্থান পরিষ্কার করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডি মাইজিরে বলেন, জার্মানিতে তুর্কিদের রাজনৈতিক সমাবেশ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তুরস্ককে পূর্ণ প্রেসিডেন্ট শাসিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সংবিধান সংশোধনের ওই গণভোট উপলক্ষে নেদারল্যান্ডে বসবাসরত তুর্কি নাগরিকদের নিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেয়া কথা ছিল এরদোগান সরকারের মন্ত্রীদের। তবে নেদারল্যান্ড তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানকে দেশে অবতরণের অনুমতি দেয়নি। পরে তুরস্কের পরিবারমন্ত্রী সড়ক পথে নেদারল্যান্ড পৌঁছালে তাকেও তুর্কি দূতাবাসে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া নিরাপত্তার আশঙ্কায় এরদোগানপন্থীদের সমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। নেদারল্যান্ডের এমন আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে দেশটিতে বসবাসরত তুর্কিরা। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ডাচ পুলিশের। লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমন করেছে ডাচ পুলিশ। উল্লেখ্য, এরদোগানের এ ক্ষমতাবৃদ্ধির প্রস্তাবের পক্ষে প্রবাসী তুর্কিদের ভোট পেতে তুর্কি সরকার ইউরোপের দেশগুলোতে প্রচারণার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তাতে রাজি হচ্ছে না ইউরোপের দেশগুলো। আর এ নিয়ে এই দেশগুলোর সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু করে এরদোয়ান সরকার। বিবিসি