বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

0
1303
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সোহরাওয়ারদী বলেছেন, শিশুর বৃদ্ধি বিকাশ সহ শিশুকে সুস্থ রাখতে মায়ের দুধের বিকল্প বা সমকক্ষ কিছুই নেই। বিভিন্ন কোম্পানী লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে বাচ্ছাদেরকে গুড়ো দুধ খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। বরং গুড়া দুধে শিশু মুত্যুর হার এবং মায়েদের বেস্ট ক্যন্সার ও জড়ায়ো ক্যান্সারের হার বাড়ে।

মঙ্গলবার বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত সচেতনতামূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান।

কর্মশালার মুল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় কর্মকর্তা সজিব সোহান।

কর্মশালায় মায়ের দুধ শিশুদের সর্বোৎকৃষ্ট খাবার উল্লেখ করে বলা হয়, মায়ের দুধ সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি বিশেষ আশীর্বাদ। চিকিৎসা বিজ্ঞানও মায়ের দুধকে শিশুদের সর্বোৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর তার প্রথম খাবারই হচ্ছে মায়ের দুধ। শুধু তাই নয়, শিশু পৃথিবীতে এসে প্রথম মায়ের যে ‘শাল দুধ’ খায়, সেটা হচ্ছে তার সারাজীবনের জন্য রোগ প্রতিষেধক টিকা। আসল কথা হলো, মায়ের দুধের প্রকৃত মূল্যায়ন পৃথিবীর সবকিছুর উর্ধে। শিশুর পুষ্টি, বেঁচে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের দুধই সর্বোত্তম ভূমিকা রাখে। শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং শিশুদের বিভিন্ন রোগ কমানোর জন্য যেসব জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় যেমন টিকাদান, ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা এবং অপুষ্টি দূরীকরণ এইসব কার্যক্রমের সফলতায় সাহায্য করতে পারে মায়ের দুধ। তাছাড়া, মায়ের দুধ মা ও শিশুর মধ্যে যে মমতার গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে তা জগতের উর্ধে।
শিশুদের মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত করে গুঁড়ো দুধ খাওয়ানোর ফলে অনেক সময় শিশুদের উপকারের পরিবর্তে অপকারই হচ্ছে বেশি। এই দুধ থেকে শিশুরা নানা অসুখ-বিসুখের শিকার হচ্ছে। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান, ইমজা সভাপতি আশরাফুল কবির।