বেতন-ভাতা পরিশোধের দায়িত্ব সিটিসেলের: তারানা হালিম

0
964
blank
ফাইল ছবি
blank

ঢাকা: বন্ধ হয়ে যাওয়া সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ভাতা পরিশোধে মানবিক আবেদন জানানো ছাড়া টেলিযোগাযোগ বিভাগ বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তেমন কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেছেন, কর্মচারিদের বেতন-ভাতা এখন কিভাবে পরিশোধ করা হবে, সেই দায়িত্ব সিটিসেলকেই নিতে হবে।

শুক্রবার গুলশানে বিটিসিএল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদেন প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। সরকারের পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা পরিশোধে ব‌্যর্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করে বিটিআরসি।

এরপর বিটিআরসির কর্মকর্তারা র‌্যাব-পুলিশ নিয়ে মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন।

এর মধ‌্যেই টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের জানান, বার বার সুযোগ দেয়ার পরও বিটিআরসির পাওনা শোধ না করায় সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তরঙ্গ স্থগিত করার পর সিটিসেলের কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ে কোনো উদ্যেগে নেয়া হবে কি-না।

জবাবে তারানা হালিম বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী চলে। বিটিআরসি শুধু নিয়ন্ত্রকের কাজ করে থাকে। একটি কোম্পানি কোথা থেকে ‍ঋণ গ্রহণ করবে, সেই ঋণ কিভাবে পরিশোধ হবে বা কর্মচারিদের বেতন-ভাতা তারা কিভাবে পরিশোধ করবে- এটা একান্ত সেই কোম্পানির দায়িত্ব। সেই হিসেবে সিটিসেলের কর্মচারি-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধের দায়-দায়িত্ব সিটিসেলের। এই দায়িত্ব সিটিসেলকেই গ্রহণ করতে হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির পক্ষ থেকে মানবিক একটা আবেদন থাকবে, যার যে দেনা আছে সিটিসেল যেন তা পরিশোধ করে। সিটিসেলের সুনাম রক্ষার্থে এই সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন।

বকেয়া বেতন এবং চাকরি হারালে ক্ষতিপূরণসহ সাত দফা দাবিতে গত আগস্ট মাস থেকে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে স্থায়ী সাড়ে চারশ’ কর্মীসহ মোট ৬৫০ জন কর্মী রয়েছেন।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল), পরে মালিকানার হাতবদলে যা বর্তমান সিটিসেলে পরিণত হয়।

সর্বশেষ তথ‌্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড।

এছাড়া সিঙ্গাপুরের সিংটেল এশিয়া প্যাসেফিক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এর ৪৫ শতাংশ এবং ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক।