ভারতের সঙ্গে কী চুক্তি হচ্ছে জনগণ জানতে চায়: মির্জা ফখরুল

0
432
blank

ঢাকা: ভারতে সঙ্গে বাংলাদেশের যে সামরিক চুক্তি হচ্ছে, তা জনগণ জানতে এমন দাবি করে সরকারকে তা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।‘৭ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবরণ দিবস’ উপলক্ষে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেড়েছি, ভারতে সঙ্গে বাংলাদের নিরপাত্তা ও সামরিক চুক্তি হচ্ছে। দেশের সাথে দেশের চুক্তি হতেই পারে। ভারতের সাথে বাংলাদেশর চুক্তি করবেন, সেটা জনগণ জানবে না সেটা হতে পারে না বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্র। দেশের সবার এটা জানার অধিকার রয়েছে যে সরকার কি করছে। কি চুক্তি হচ্ছে তা প্রকাশ করা ম্যান্ডেটরি। অথচ একটা চুক্তিও এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি।

‘শুধু তাই নয়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় আছি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে এবার বোধহয় ভারতের সাথে পানি সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একফোটা পানিও তিস্তা নদীতে পাইনি।’ যোগ করেন তিনি।

জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সদাশয় সরকারের অতি দক্ষতার কারণে গোটা পৃথিবীতে এখন এই ধারণা দেওয়া হচ্ছে যে বাংলাদেশ একটি জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। সুনির্দিস্টভাবে কখনো এসবের তদন্ত হচ্ছে না। যাদেরকে ধরা হচ্ছে জঙ্গি হিসেবে, সম্প্রতি নতুন করে নাটক শুরু হয়েছে, প্রথম নাটক হচ্ছে জঙ্গি অভিযানের সময় যে ছবি তোলা হচ্ছে তা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।’

‘এসব জঙ্গীর ঘটনা আমরা অস্বীকার করছি না বাতিলও করে দিচ্ছি না। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারকে এবিষয়ে গ্রহণযোগ্য যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। জঙ্গিবাদকে সমুলে নির্মূল করতে হবে,’ বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমেরিকা তিনটি দেশকে জঙ্গিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন দেশগুলো হচ্ছে- পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ। তাই আজকে বাংলাদেশের মানুষকে ভিসা সংকটে পড়তে হচ্ছে।’

উন্নয়ন সম্পর্কে সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির যে চিত্র দেখানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। ভুল পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণের সাথে প্রতারনা করে হচ্ছে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

এই চিত্র ‘ভুল’ প্রমাণ করতে ক্ষমতাসীনদেরকে সম্মুখ ডিবেটে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান ফখরুল।

‘নির্দলীয় ও সহায়ক সরকার সংবিধানে নেই’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘মানুষের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। তারা সংবিধানকে বাইবেল বানিয়ে দিয়েছেন, যেন কখনো পরিবর্তন করা যাবে না। তাহলে প্রজাতন্ত্র হলো কিভাবে, জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে কিভাবে। এটা মানুষকে প্রতারণা করা বোকা বানানো।’ আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হবার করার কারণে এসব করছেন বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।

ড্যাবের সহসভাপতি এম এ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন-ড্যাবের মহাসচিব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।