ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষরও বিপজ্জনক: রিজভী

0
446
blank

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও তা চুক্তি সম্পাদনের পথে একটা বাধ্যবাধকতা তৈরি করবে বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার চায় সমঝোতা স্মারক সম্পাদন করতে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও তা চুক্তি সম্পাদনের পথে একটা বাধ্যবাদকতা তৈরি করবে। তাই বাংলাদেশ সরকারের জন্য সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরও হবে বিপজ্জনক। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সরকার ভারতকে উজাড় করে দেয় কিন্তু ভারত মিলিমিটারের ভগ্নাংশও বাংলাদেশকে ছাড় দেয় না। ভারত কর্তৃক প্রস্তাবিত ২৫ বছর মেয়াদি প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের মিলিটারি হার্ডওয়্যার বিক্রি করতে চায়।
ভারতের একজন সাবেক সেনাপ্রধানের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত নিজেই সামরিক সরঞ্জাম আমদানিকারক একটি দেশ। সেক্ষেত্রে ভারত কী ধরনের সমরাস্ত্র বাংলাদেশে রফতানি করবে সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। আসলে এর পেছনে যে অন্য উদ্দেশ্য আছে তা বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবেই উপলব্ধি করে। ভারতের কাছ থেকে সামরিক হার্ডওয়্যার আমদানি করলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এক্সটেনশন মাত্র। এ চুক্তি হলে ভারত অস্ত্র কেনার শর্তে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার লাইন অফ ক্রেডিট দেবে, অর্থাৎ এ অর্থ দিয়েই ভারত থেকে অস্ত্র কিনতে হবে। এটি ভারতের কৈ এর তেল দিয়ে কৈ ভাজার চানক্য নীতি।
দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তিসহ যেকোনো চুক্তি হতেই পারে। কোনো চুক্তিই গোপন রাখা হবে না—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, কাদের সাহেবের নিকট প্রশ্ন রাখতে চাই ভারতের সাথে অতীতে দেশবিরোধী ট্রানজিট, করিডোর ছাড়াও আপনারা আরো গোপনীয় ৫০টি চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন যেটি আজও জনগণ জানতে পারেনি।
সংবাদ মাধ্যমের গলায় ফাঁসির দড়ি লাগিয়ে রাখা হয়েছে। আর এ সমস্ত অনাচার করবে বলেই সরকার গণতন্ত্রকে মুমূর্ষু রোগী বানিয়ে জনগণের গায়ে কাঁদা ছিটাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।