ভারতের সাহায্যে বা উসকানিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: ড. কামাল

0
1026
blank
blank

ঢাকা: গণফোরামের সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ভারতের সাহায্যে বা উসকানিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। এরকম ইতিহাস যারা লেখেন বা বলতে চান তাদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের দুর্গ গড়ে না তুললে এটি কখনোই স্বাধীন হতো না, যা ভারতও স্বীকার করেছে। ইন্ডিয়া আমাদেরকে উসকে দিয়েছে, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। ইন্ডিয়া আমাদেরকে স্বাধীনতা করে দেয়নি। ইন্ডিয়ার দয়ার মাধ্যমে আমরা স্বাধীন হইনি। আমরা লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। রাজধানীর একটি হোটেলে ইফতারের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো সরকারের তাবেদারি করে না। এটা তাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্য। ব্রিটিশরাও এদেশের মানুষের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ব্যাপারে সার্টিফিকেট দিয়েছে। তারা বলেছে, এরা দমিয়ে রাখার জাতি না। এদেশের মানুষ সরকারের কাছে সুবিধা পেতে তাল মিলিয়ে চলে না।

ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা অন্যদের মতো সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই না। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করতে পারি না। কারো দয়ায় আমরা আমাদের ভবিষ্যত গড়বো না। নিজেদের অধিকার নিজেরাই আদায় করবো। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, ঐক্য হয়েই আছে। সব রাজনৈতিক দল এক টেবিলে বসে মতবিনিময় করলে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐক্যে পৌঁছতে পারবো।

ড. কামাল আরো বলেন, দেশে এখন ইফতারির নামে রাজনীতি হচ্ছে। তবে তার দলের উদ্যোগে ইফতারের আয়োজনকে শেষ ইফতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এধরনের রাজনৈতিক ইফতারে তিনি আর কখনো অংশ নেবেন না। তিনি বলেন, দলীয় নয়, ইফতার হবে সবাইকে নিয়ে। যেখানে কোনো দল, ব্যক্তি পরিচয় থাকবে না। সকলকে নিয়েই আগামীতে ইফতারের আয়োজন হবে এবং সে অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন বলেও জানান।
তিনি বলেন, এসবের মাধমে ইফতারিও হয় না। আবার রাজনীতিও হয় না।

ইফতারি অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ পাশাপাশি বসেন।

এছাড়া গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব) আব্দুল মান্নান, সাবেকমন্ত্রী আলমগীর কবির, সাংবাদিক কাজী সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও রোবায়েত ফেরদৌস, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক এস এম আকরাম, মোশতাক আহমদ. মহিউদ্দিন আবদুল কবির, নৃপেন ঘোষ এতে অংশ নেন। সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে কাজী সিরাজ, বদিউল আলম, সৈয়দ তোসারফ আলী, জাহিদুজ্জামান ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।