ভারত বন্ধু রাষ্ট্র হলে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি কেন: ড. মোশাররফ

0
508
blank
blank

ঢাকা: ভারত বন্ধু রাষ্ট্র হলে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি কেন করতে হবে এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রশ্ন তুলেন। সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের এখানে আক্রমণ করার কোনো আশঙ্কা আমরা করি না। তাহলে কেন তাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে হবে? প্রধানমন্ত্রীকে এটা জনগণের সামনে পরিস্কার করতে হবে। প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নীতি নির্ধারক। বাংলাদেশের জনগণকে অন্ধকারে রেখে ভারতকে এই ধরণের কোনো চুক্তি না করারও আহ্বান জানান ড. খন্দকার মোশাররফ।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি না হওয়ার সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এই সফরে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা হবে। তাই একটা তিস্তা চুক্তি না হলে কিছুই হবে না। তাকে বলতে চাই, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবন মরণের প্রশ্ন তা হলো পানি সমস্যা। তাই প্রধানমন্ত্রী যত চুক্তিই হোক তিস্তা চুক্তি না হলে এই সফর হবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এতে কোনো সফলতা আসবে না।
আওয়ামী লীগে কাউয়া অনুপ্রবেশ করেছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, কেবল আওয়ামী লীগে নয়ই, কাউয়া সরকারের মধ্যেও আছে। তারাই দেশ চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, একজন বলছেন সরকারের মধ্যে কাউয়া আছে। আর একজন বলছেন দলের মধ্যে কাউয়া আছে। এরমানে আমরা দেখছি সব জায়গা কাউয়া। এসব কাউয়া থেকে দেশকে বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
মোশাররফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা দেবেন। আমরা আশা করি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সেই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। এবং কুমিল্লার মতো সারাদেশে বিএনপি জয়লাভ করবে।