ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনেক উচ্চতায়: বাণিজ্যমন্ত্রী

0
528
blank
blank

ভোলা: ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনেক উচ্চতায়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই গঙ্গার ন্যায্য পানির হিস্যা পেয়েছি। তার আমলেই পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি করেছি। সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। শেখ হাসিনার আমলেই আমরা ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করেছি। যেটুকু বাকি আছে সেটুকু এবারের সফরের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা হবে। শনিবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আশা করছি ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তিও সম্পন্ন হবে। আমরা মাথা উঁচু করে সমুদ্রসীমার মামলা করে বিজয়ী হয়েছি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা সমুদ্রসীমা আদায় করতে পারেনি। গঙ্গার পানি আনতে পারেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি করতে পারেনি। সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অথচ এখন ভারত-বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন হয় ভারতপ্রীতি, আর যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে তখন ভারতবিরোধী। খালেদা জিয়াও তো দিল্লি গিয়েছিলেন। লালগালিচা সংবর্ধনা পেয়েছিলেন। কিন্ত গঙ্গার পানি নিয়ে কথা বলেননি। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা যখন জানতে চেয়েছিলেন তখন খালেদা জিয়া বলেছেন এটা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। সেই নেত্রীর কাছে আমরা কি আশা করতে পারি।
নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো দিন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই সাধারণ মানুষকে বুঝাতে হবে শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখনই দেশে উন্নয়ন হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশের নেতা নন, আন্তর্জাতিক বিশ্বের একজন বরেণ্য ও দক্ষ রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার পথে দৃপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশ এখন আর্ন্তজাতিক বিশ্বে একটি মর্যাদাশালী দেশ।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভোলায় ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘ভোলার প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। যে ভোলায় কোনো রাস্তাঘাট ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না, সেই ভোলায় ব্যাপক রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। নদীভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষায় কাজ চলছে। ভোলা-বরিশালের ব্রিজের কাজও শুরু হবে। ভোলা জেলার রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এর কাজ শুরু হবে। এ কাজ সম্পন্ন হলে ভোলায় আর কোনো রাস্তা কাঁচা থাকবে না।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাছেত মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, নজরুল ইসলাম গোলদার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।