ভাস্কর্যের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের: আওয়ামী লীগ

0
460
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভাস্কর্য অপসারণে হেফাজতে ইসলামের দাবির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সহমত জানানোর পর সমালোচনার মধ্যে আওয়ামী লীগ বলেছে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের।

শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে ‘জাস্টিস লেডি’র ভাস্কর্য স্থাপনের পর থেকে তা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল হেফাজতসহ বিভিন্ন কট্টর ইসলামী সংগঠন।

হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে একদল ওলামার সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠকে এই ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে অবস্থান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের সামনের গ্রিক ভাস্কর্যটি যেখানে স্থাপন করা হয়েছে, তা জাতীয় ইদগাহ মাঠের পাশে। এখানে স্বকীয়তা অনুসরণ করা হয়নি। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী উনার মতামত প্রকাশ করেছেন।”

ভাস্কর্য অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস গণজাগরণবিরোধী হেফাজতের কাছে শেখ হাসিনার নতি স্বীকার হিসেবে দেখছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। জোটসঙ্গী দল জাসদ একে আওয়ামী লীগের আদর্শচ্যুতির লক্ষণ মনে করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সুপ্রিম কোর্ট সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। এখানে এই ভাস্কর্য থাকবে কি, থাকবে না, এটা একান্তই সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার।”

প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে তার মতামত দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপির নানা বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বলেন, “রিজভী বলেছেন, ভারত পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্য পাকিস্তান ভেঙে দিয়েছিলেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে তারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাপা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি উপস্থিত ছিলেন।