ভিশন ২০৩০-কে অভিনন্দন জানানো উচিৎ: ব্যারিস্টার মওদুদ

0
522
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভিশন ২০৩০-কে আওয়ামী লীগের অভিনন্দন জানানো উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। যারা ভিশন ২০৩০ অন্তঃসারশূন্য বলে তার নিজেরাই অন্তঃসারশূন্য। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন : নির্বাচন সহায়ক সরকার : সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন. ‘ভিশন ২০৩০ নিয়ে যারা কথা বলছেন তারা নিজেরাই অন্তঃসারশূন্য। তারা যদি সত্যিকার অর্থে গঠনমূলক রাজনৈতিক দল হয়ে থাকে, তাহলে ভিশন ২০৩০ কে অভিনন্দন জানাতো। এটাকে এফ্রিশিয়েট করতে পারতো। গত ৪০ বছরে কোনো রাজনৈতিক দল এ ধরণের চিত্র তুলে ধরেন নাই। তাদের এ প্রতিক্রিয়া ঠিক হয় নাই। এটা পড়ে দেখে সুনির্দিষ্টভাবে বলা উচিৎ ছিল।’

ভিশন ২০৩০ তে সমঝোতার কথার ব্যাখায় মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সমঝোতার কথা বলি রাজনীতিক কারণে, কৌশলের কারণে। কিন্তু এর উত্তর আসতে হবে রাস্তায়, মাঠে। আন্দোলন ছাড়া এর কোনো বিকল্প নাই। এবং এটা আদায় করা হবে। আমরা এমন একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই যেখানে সরকারের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ নির্বাচনে থাকবে না। নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমরা এটার আলাদা রুপরেখা দিবো।’

গত কয়েক বছরে সব হারিয়েছি উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, কত বছর গয়ে গেল, ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ১০ বছর। আমরা আপিল বিভাগ থেকে, সুপ্রিম কোর্ট আমাদের দলের কোনো নেতার পক্ষে কোনো সাবস্ট্রাক্টিভ জাজমেন্ট আমরা পাই নাই। ড. মোশাররফ হোসেন চারবার জামিন পেয়ে বের হতে পারেননি। তাকে জেল খাটতে হয়েছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির ভিশন ২০৩০ দেওয়ার পর মানুষের আলাপ আলোচনায় যা বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা কাপুনি ধরেছে।

জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবে না। যে নির্বাচন হবে সেটা ২০১৪ সালের মতো নয়। কারণ ভারত যা নেওয়ার তা নিয়ে নিয়েছে। এখন তারা একটা জনবান্ধব সরকারের সঙ্গে থাকতে চায়। পরিবর্তন অনিবার্য। সামনের দিনগুলো আমাদের।

নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল ও ড. এস এম হাসান তালুকদার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবীর মুরাদ এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা সাইফুর রহমান মিহির আলোচনায় অংশ নেন।