মধুর ক্যান্টিনে যা ঘটেছে তা ছোট সাধারণ ঘটনা: হানিফ

0
610
blank
blank

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে যা ঘটেছে তা একটি ছোট্ট সাধারণ ঘটনা বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, এটি নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে তিনি একথা বলেন।

এ সময় হানিফ বলেন, ‘ছাত্রলীগ একটি বৃহৎ সংগঠন, এখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী রয়েছে। বয়সে তরুণ হওয়ার তাদের প্রতিক্রিয়াটা একটু ভিন্ন। যোগ্য নেতারা সবাই পদ প্রত্যাশা করেন। সবাইকে তো দেয়া যায় না। তখন কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হতেই পারে। যে কারণেই এরকম একটু আধটু ঝামেলা হতেই পারে। আমাদের দেশে এমনটি হয়ে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংগঠনের নেতারা সবকিছু সমাধান করবেন। এছাড়া অক্টোবরে শেষ হবে আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ। নির্ধারিত সময়েই আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হবে বলেও জানান তিনি।’

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রীতিকর ঘটনার তদন্তে ছাত্রলীগের তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উক্ত কমিটিকে তথ্য-উপাত্তসহ তদন্ত প্রতিবেদন দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির তিন সদস্য হলেন- আল নাহিয়ান খান জয়, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত ও পল্লব কুমার বর্মণ।

গতকাল সোমবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় ইফতার পরবর্তী সময়ে মধুর ক্যান্টিনে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রীতিকর ঘটনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সেইসঙ্গে উক্ত ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির লক্ষ্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে যান পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় দুগ্রুপের সংঘর্ষে ডাকসুর তিন নেতাসহ অন্তত আটজন আহত হন।