মন্ত্রীর নির্দেশে গুলি, এরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব: রিজভী

0
450
blank

বগুড়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রদের মিছিলে একজন মন্ত্রীর নির্দেশে গুলি চালানোর কারণেই ওই দিন শহরে ‘তাণ্ডব’ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে বগুড়ার একটি হোটেলে বগুড়ায় জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তবে কোন মন্ত্রীর নির্দেশে কে বা কারা গুলি চালালো তা তিনি বলেন নি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদ্রাসা ছাত্রদের মিছিলে সরকারের একজন মন্ত্রীর নির্দেশে গুলি চালানোর কারণেই ‘তাণ্ডব’ হয়েছে। এখন এই ঘটনায় বিএনপিকে ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে। পুলিশ দিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার হয়রানি করা হচ্ছে। এ ধরনের চক্রান্ত করা হলে বিএনপি যথোপযুক্ত জবাব দেবে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুদক নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। এটা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার ও দুদকের যৌথ প্রযোজিত ‘চক্রান্ত’। হাওয়া ভবনের কথিত কর্মচারীর নাম জড়িয়ে তারেক রহমানকে দুর্নীতির মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে। অথচ ‘হাওয়া ভবন’ চেয়ারপারসনের কার্যালয় ছিল। সেখানে বসে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসাবে তারেক সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালাতেন। সামছুজ্জোহা ফরহাদ নামে সেখানে কোনো কর্মচারী ছিল না। বিদেশে তারেক রহমানের কাছে হাওয়া ভবনের সেই কথিত কর্মচারীর অর্থ পাঠানোর খবরও ভিত্তিহীন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার অশুভ উদ্দেশ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করতে চাচ্ছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে সামাজিক নিবিড় বন্ধন ভেঙে যায়। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। তারপরেও সরকার যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে চাচ্ছে বিএনপি তাতে অংশ নেবে। এ সময় বগুড়াসহ ২৩ জেলার কমিটি ভেঙে দিয়ে দল পুনর্গঠনের গণমাধ্যমের খবর সত্য নয় বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা কমিটির উপদেষ্টা এ কে এম মাহাবুবর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার প্রমুখ।