মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরুলাম ভর্তি হবো কম খরচের কলেজে ।

0
632
blank
blank

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক

  • মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরুলাম এবার ভর্তি হবো কম খরচের কলেজে একাদশ শ্রেণিতে

    কথা গুলো বলছিল সদ্য পাশ হওয়া নাজিফা সে সিলেট অগ্রগামিতে পাশ করেছে মধ্যবিত্ত ঘরের আদরের দুলালী স্বপ্ন নিয়ে সে বাঁচতে চায় তাই মাবার সামর্থ নেই নামি দামি কলেজে ভর্তি করা কিন্ত নিজের মেধা আর বুদ্ধি কাটিয়ে সে কম খরচের কলেজে ভর্তি হয়ে ভালো করতে চায় একাদশে।

ভালো বা নামিদামি কলেজে পড়লেই যে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হবে এমনটা কিন্তু না। সেটা হচ্ছে নিজের কাছে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই ভালো পড়াশোনা করলেই ভালো জায়গায় সুযোগ হবে। এমনটাই মনে করে অফরজনা মাহিন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সফলতা এমন একটি জিনিস যা প্রতিটি মানুষের চাহিদার অন্যতম অংশ দখল করে থাকে। ২০১০ সাল থেকে পরিপূর্ণ শিক্ষার একটা সামগ্রিক ধারণা নিয়ে সিলেট নগরীর সুবিধ বাজাস্হ ক্যাম্পাসে পথচলা শুরু করে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সফলতার সিঁড়ি বেয়েই ক্যামব্রিয়ান এখন একটি পরিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যামব্রিয়ান আজ একটি বিশাল শিক্ষাপরিবার, বর্তমানে
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় তার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শিব্বির আহমদ ওসমানী তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন ক্যামব্রিয়ানকে ডিজিটাল ক্যাম্পাসে রূপ দেওয়ার এবং সেই কাজটি করে দেখিয়েছেন সর্বোচ্চ দুই বছরের ব্যবধানে। নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার কাজটি প্রাথমিক স্তর থেকেই শুরু করাসহ,ক্যামব্রিয়ানকে অত্যাধুনিক যুগোপযোগী এবং একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে।

প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শ্রেণীতে ২০১৭ সালের ভর্তি চলছে। দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা ও শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলেই প্রতিষ্ঠানটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করে নেয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা কারিকুলাম

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না। কারণ যে কোনো পরীক্ষার প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো চেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে যোগ্য রাখা। তাই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস জন্মানোর জন্য শ্রেণীকক্ষেই প্রস্তুত করা হয়। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যামব্রিয়ান প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এসএসসি ও এইচএসসিতে শতভাগ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। আর এ সাফল্যের কারণ শিক্ষকদের নিবিড় পরিচর্যা। এখানে প্রতি ১০ জন ছাত্রের জন্য ১ জন শিক্ষক নিয়োজিত। ফলে নিয়মিত পড়াশোনা ও সময়ের সঠিক ব্যবহার হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ১২ টি ক্যাম্পাস রয়েছে।

ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা উপকরণগুলো যাতে খুব সহজে ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ক্যামব্রিয়ানের ছাত্রছাত্রীরা যাতে পড়ালেখায় গভীর মনোনিবেশ করে সেজন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ট্রান্সপোর্ট, হোস্টেল সুবিধা, সব একাডেমিক বইয়ের ডিজিটাল ভার্সনসহ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবস্থা রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে একাডেমিক শিক্ষা উপকরণের ডিজিটাল ভার্সনসহ আইপ্যাড, ল্যাপটপ দেওয়া হয়। আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। কোনো শিক্ষার্থীকে যাতে আর্থিক সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য কিস্তিতে টিউশন ফি দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ক্লাসরুমেই স্মার্ট ইন্টারেক্টিভ বোর্ডের ব্যবহার করা হয়েছে।

অল্প টাকায় ভর্তি হওয়া যায় মানসম্মত কলেজ ।যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপযুক্ত নাগরিক তৈরির লক্ষে এখানে রয়েছে সমৃদ্ধ ও সুশৃঙ্খল আবাসিক ব্যবস্থা যা সাধারণ শাখা নামে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে প্রত্যেক ধর্মের শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ ও ধর্ম চর্চা এবং ধর্মীয় দিবস সমুহ পালনের সুযোগ পেয়ে থাকে। ছাত্রদের শরীর চর্চা খেলাধুলা, বিনোদন ও প্রাথমিক চিকিৎসা সহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান সহ নৈতিক গুণাবলী গঠনে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।

প্রযুক্তিসমৃদ্ধ নবতর শিক্ষা ধারণায় পরিচালিত হচ্ছে সিলেটের ভিন্নধারার  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। যার শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত ধারণা থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম।

ক্যামব্রিয়ানের বার্ষিক শিক্ষা কার্যক্রম চলে একটা পর্যায়ক্রমিক এবং টার্ম পদ্ধতিতে। আর পুরো প্রক্রিয়াটি চলে নির্ধারিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একটি পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে। তথ্যমতে, এখানে পাঠদান পদ্ধতি চলে কমপক্ষে ১৪টি বিষয় অবলম্বন করে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেসন প্লান, প্রতিদিন প্রতিটি বিষয়ের ক্লাস, ক্লাসের আগে লেকচার শিট প্রদান, প্রশ্নব্যাংক ও সমাধান, সাজেশন ও সমাধান, সুপারভাইজরি স্টাডি প্রোগ্রাম বা এসএসপি, অডিও ভিজ্যুয়াল, বিকল্প ক্লাস, মেকআপ ক্লাস, ব্যবহারিক ক্লাস, আবাসিক হোস্টেলে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান, শ্রেণি শিক্ষক, গাইড শিক্ষক ইত্যাদি।ক্যামব্রিয়ানের ঈর্ষনীয় সাফল্য সম্পর্কে উপাধক্ষ্য মির্জা বশির আহম  বলেন, আমরা বরাবরই নজর রাখি শিক্ষার্থীরা যাতে ভালো ফলাফল করতে পারে। প্রতিষ্ঠালগ্নের পর হতে আমাদের অনেক বাঁধা অতিক্রম করতে হয়েছে আর এই বাঁধা পেরিয়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের সফলতা