বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন মতে গত মার্চ মাসে ৮৮টি ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৩৯৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। যা গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ২৯৫টি এং জানুয়ারি মাসে ছিল ২৯৭টি। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা মালেকা বাণু লিখিত এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পাশাপাশি তিন মাসের নির্যাতনের একটি তুলনামূলক আলোচনাও হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গত মার্চ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৮৮টি। তার মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮ জনকে। একই সময় শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৯ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১ জন। গতমাসে এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন, এসিডদগ্ধের কারনে মৃত্যু ১ জন ও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন তন্মধ্য মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১০ টি। উক্তসময়ে নারী ও কন্যাশিশু পাচারের শিকার হয়েছে ১ জন। বিভিন্ন কারণে ৫০ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
পাশাপাশি যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০ জন নারী। তন্মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৮ জনকে। একই সময় গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন ও গৃহপরিচারিকা কর্তৃক নির্যাতনের কারনে আত্মহত্যা ১ জন। এসময় উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে ও উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ১ জন নারী। গতমার্চ মাসে ফতোয়া শিকার ২ জন ও পুলিশী নির্যাতনের শিকার ১ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারনে ৩১ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং ৩৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে ২৫ টি কিশোরীর। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৬৪ জন নারী ও শিশুকে। এছাড়া অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।